মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগে বড় ধরনের রদবদল হতে যাচ্ছে। এতে আরও ১০ হাজার কর্মী চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যয় সংকোচন নীতির অংশ হিসেবে এ পদেক্ষেপ নেওয়া হবে।
মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রণালয় (এইচএইচএস) ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। বিভাগে মোট ৮২ হাজার কর্মী রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই পদক্ষেপটি সরকারি কার্যক্রমকে সহজতর করার অংশ হিসেবে তুলে ধরেছেন, তবে এটি প্রশাসনের এজেন্ডার বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ প্রতিরোধের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ছাঁটাই ও পূর্ববর্তী কাঠামোগত পরিবর্তনের ফলে এইচএইচএস প্রায় ২০ হাজার কর্মী হারাবে। কেনেডি বলেছেন, মন্ত্রণালয় তাদের আঞ্চলিক অফিসগুলোর অর্ধেক বন্ধ করবে এবং একটি নতুন সংস্থা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর এ হেলদি আমেরিকা ( এএইচএ) তৈরি করবে।
কেনেডি বৃহস্পতিবার বলেন, আমরা শুধু ব্যুরোক্রেটিক কর্মকাণ্ড কমাচ্ছি না, আমরা সংস্থাটির কাঠামো এবং আমাদের নতুন অগ্রাধিকারগুলো, যেমন দীর্ঘমেয়াদি রোগের মহামারি মোকাবিলায়, তার সঙ্গে সংযুক্ত করছি। এই পদক্ষেপের প্রতি সমালোচনা জানিয়ে, সাবেক সিএমএস প্রশাসক চিকুইটা ব্রুকস-লাশিউর বলেন, স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর যেকোনো ধরনের ছাঁটাই খুব যত্নসহকারে এবং সেই সব মানুষের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখে করা উচিত। এদিকে, হেলথ এজেন্সির বিভিন্ন বিভাগে কর্মী ছাঁটাইয়ের পর, অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যেমন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) থেকে ৩৫০০ জন কর্মী এবং সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) থেকে ২,৪০০ কর্মী ছাঁটাই হবে। এ ছাড়া এনআইএইচ তাদের ২৭টি ইনস্টিটিউট এবং সেন্টার থেকে ১২০০ কর্মী হারাবে।
ডেমোক্রেটিক সিনেটর প্যাটি মারে বলেন, আমরা আমাদের স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর কাছ থেকে উদ্বিগ্ন কল পাচ্ছি যে কোন তহবিল ছেঁটে ফেলা হবে। তিনি এই সিদ্ধান্তটিকে একটি অবৈধ তহবিল ঠেকানো হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এদিকে উপভোক্তা অধিকার গ্রুপ পাবলিক সিটিজেন সতর্ক করেছে যে, এফডিএতে ছাঁটাইয়ের ফলে আরও নিরাপদ ওষুধ এবং চিকিৎসা যন্ত্র বিক্রি হতে পারে এবং এটি ব্যাপকভাবে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
সুত্র : দ্য গার্ডিয়ান