এয়ার হোস্টেস বা বিমান বালা হিসেবে দেশে-বিদেশে কাজ করতে চান?
চাইলে আপনিও হতে পারেন এয়ার হোস্টেস বা বিমান বালা! এটি একটি সুনিশ্চিত ভবিষ্যত!
এমন সব বিজ্ঞাপন দেখে যারা এই চাকরিগুলোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন বা হবেন বলে ভাবছেন, তাদের শুরুতেই কিছু বিষয় জেনে নেয়াটা অত্যন্ত জরুরি। কোর্সে/কোচিং সেন্টারগুলোর বিজ্ঞাপন দেখে বাস্তবতা ভুলে গেলে চলবে না।
তা না হলে তীরে এসে যেমন ডুবতে পারে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের তরী, তেমনি শুরুতেই কেউ হতাশ হয়ে যেতে পারেন। এবং এই প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে কিছুটা সময়, শ্রম, মেধা ও টাকার অপচয় কিংবা ভুল পথে স্বপ্ন দেখা আপনাকে ছিটকে ফেলতে পারে এই চাকরিযুদ্ধ থেকে। তাই এগোতে হবে জেনেশুনে, ঝুকি নিতে হবে দেখেশুনে।
ছোট থেকেই বড় হয়ে কি হবে এই নিয়ে অনেকের দুচোখে রঙিন স্বপ্ন থাকে। যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার শিক্ষক বা অফিসার ইত্যাদি। তবে যারা মাটির মায়া কাটিয়ে আকাশ ছোঁওয়ার প্রত্যাশায় থাকেন তাদের কাছে এয়ার হোস্টেস বা বিমান সেবিকার জব যে মেঘ না চাইতেই জল সেকথা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
এয়ার হোস্টেসের মত এই বিজ্ঞাপনগুলোতে চাকরি পাওয়া যতটা সহজ বলে মনে হয়, ততটা সহজে এখানে সুযোগ পাওয়া সম্ভব নয়। এর জন্য অনেক ধরনের যোগ্যতা-অযোগ্যতার প্রশ্ন আছে। পার হতে হবে অনেক কঠিন কিংবা বিব্রতকর পরিস্থিতি। কখনো কখনো অস্বাভাবিক কিছু শর্তও জুড়ে দেয়া হয়।
বিমানে বহনকারী যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা দেয়াই এয়ার হোস্টেসের মূল কাজ। বিমানের ওঠা-নামা সংক্রান্ত সকল তথ্য পাইলটের হয়ে যাত্রীদের জানাতে হয় এয়ার হোস্টেসকেই। পরিচ্ছন্নতা, খাবার দাবারের সরঞ্জাম পৌছানো, জরুরি ইকুইপমেন্ট, ফার্স্ট এইড আগে থেকেই ঠিক রাখা কেবিন ক্রুদের দায়িত্ব। বিমানে ওঠার পর যাত্রীদের টিকেট মিলিয়ে দেখা, যাত্রীদের সিট দেখিয়ে দেওয়া বিমান আকাশে ওড়ার আগে যাত্রীদেরকে সিটবেল্ট লাগাতে বলা এবং কেবিন লাগেজ সিটে পৌছাতে সহায়তা করা, কেবিন ক্রুদের দায়িত্ব।
যারা আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে,পাখির মতো আকাশে উড়ে বেড়াতে চায়, সারা বিশ্বকে খুব কাছ থেকে দেখতে চায় তাদের জন্য কেবিন ক্রু চাকরিটা অনেকটা সোনার হরিণের মত। কেবল প্রয়োজন- ইচ্ছা,আত্মবিশ্বাস,ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা। দিন দিন ক্যারিয়ার হিসেবে নারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এয়ার হোস্টেস বা কেবিন ক্রু। সৌন্দর্য সচেতন এবং মননে আধুনিক নারীরা খুব সহজেই এটিকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারেন।
অ্যাডভেঞ্চার, গ্ল্যামার আর উচ্চ আয়ের সুযোগ। তবে কিছু প্রশিক্ষণ কোর্স করে বাংলাদেশ বিমান ও বেসরকারিখাতে কর্মরত এযারলাইন্সেই চাকরির সুযোগ নেওয়া যায়। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অন্যান্য এয়ারলাইন্সে সাফল্যের এ ক্যারিয়ারে যুক্ত রয়েছে বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা। শুধু চাই আত্মবিশ্বাস ও পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ।
যেকোন দূর্ঘটনার জন্য কিংবা অন্য কোন বিশেষ পরিস্থিতিতে পানিতে এরোপ্লেন ল্যান্ড করতে পারে। সেসব পরিস্থিতির জন্য সবসময় কেবিন ক্রু এবং এয়ার হোস্টেসদের তৈরি থাকতে হয়। Ryanair এ চাকরির জন্য কমপক্ষে ৬৫ ফিট (২০মিটার) সাঁতারে অংশ নিতে হবে। এবং British Airways এর জন্য তা কমপক্ষে ১৬৪ ফিট (৫০মিটার) । সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে সাঁতার না জানা কেউ কেবিন ক্রু/এযার হোস্টেস হিসেবে যোগ্য নন। তিনি প্রথমেই বাদ পরে যাবেন।
এয়ারলাইনগুলোতে চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে শর্ত হিসেবে চুল ছোট (ববকাট) করে রাখতে বলা হয়। যেন বড় চুলের জন্য কাজে অসুবিধা না হয়। অনেকেই চুল ছোট করতে চান না। তারা এক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
যেমন British Airways এর এয়ার হোস্টেসদের চুল কাধ পর্যন্ত লম্বা রাখতে হয়।
শরীরের দৃশ্যমান স্থানে ট্যাটু থাকা যাবে না এবং নাক-কান ফোঁড়ানো যাবে না। এরকম হলে কেউ অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। দেখা যায় না এমন অংশে ট্যাটু থাকলে কোন সমস্যা নেই। এটাও খুবই অদ্ভুত একটি শর্ত!
যেকোন ইমার্জেন্সিতে প্লেন বন-জঙ্গল, পাহাড়-পর্বত এরকম দুর্গম এলাকায় ল্যান্ড করানো হতে পারে। এজন্য জঙ্গলে টিকে থাকতে জানতে হবে। এর জন্য পর্যাপ্ত ট্রেনিং নিতে হবে। ব্রাজিলের TAM Airlines তাদের স্টাফদের জন্য জঙ্গলেটিকে থাকার উপর বিশেষ কোর্স করায়। এরকম ট্রেনিং অবশ্য ভৌগলিক এলাকাভেদে আলাদা হতে পারে।
অনেক সময়ই যাত্রীদের লাগেজ জায়গামত রাখতে সহযোগিতা করতে হবে। লাগেজ বেশ ভারিই হয় সাধারণত। এজন্য যথেষ্ট শক্তিশালী না হলে এয়ার হোস্টেস হিসেবে চাকরিতে নেয়া হয় না। Air New Zealand এর স্টাফদের জন্য ৫’৭” উচ্চতায় ২২ পাউন্ড (১০কেজি) ওজন উভয় পা মাটিতে রেখেই উঠানোর ক্ষমতা থাকা বাধ্যতামূলক। এজন্য শারিরিক সক্ষমতা থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।
অনেক এয়ারলাইন্সে মুখ দাগহীন হওয়াটাও এয়ার হোস্টেস হবার শর্ত থাকে। সেক্ষেত্রে যাদের মুখে দাগ আছে তারা চাকরির বাছাইয়ে বাদ পরে যাবেন। অবশ্য অধিকাংশক্ষেত্রেই এটা কোন বড় কারণ হয়ে দাড়ায় না।
স্টুয়ার্ডেস হিসেবে অনেক এয়ারলাইন্সে নখ লম্বা রাখা বারণ। ফ্যাশনেবল কেউ নখ লম্বা করে রাখতে চাইলে স্টুয়ার্ডেস হতে পারছেন না। Hawaiian Airlines – এ নখের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ঠিক করা থাকে আঙুলের মাথা থেকে ০.১ইঞ্চি (৩মিলিমিটার)।পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এবং সুস্থ থেকে ভাল সেবা দিতে পারাটা একজন স্টুয়ারডেসের জন্য ভাল একটি যোগ্যতা।
অনভিজ্ঞ স্টাফদের ক্ষেত্রে অনেক এয়ারলাইনস অবিবাহিতদেরই নিয়োগ দিতে চায়। অবশ্য অভিজ্ঞদের জন্য এই নিয়ম শিথিল করা হয়। Jet airways এ বিবাহিত দের নিয়োগ দেওয়া হয় না তবে অভিজ্ঞদের বিবাহিত হলেও নিয়োগ দেওয়া হয়। এই নিয়মটা অনেকের কাছেই অদ্ভুত মনে হতে পারে।
অন্য অনেক চাকরির মত অনভিজ্ঞ স্টাফদের ক্ষেত্রে অনেক এয়ারলাইনস অবিবাহিতদেরই নিয়োগ দিতে চায়। অবশ্য অভিজ্ঞদের জন্য এই নিয়ম শিথিল করা হয়। Jet airways এ বিবাহিত দের নিয়োগ দেওয়া হয় না তবে অভিজ্ঞদের বিবাহিত হলেও নিয়োগ দেওয়া হয়।
এখানেও শরীর সুস্থ সবল থাকাটা জরুরি। এ বিষয়ে তাই প্রত্যেক এয়ারলাইন্সের জন্য তাদের নিজস্ব কিছু শর্ত থাকে। তবে সাধারণত নারী স্টাফদের জন্য গড় উচ্চতা ৫’২” (১৬০ সে,মি) থেকে ৬’২” (১৮৮ সে,মি)। উচ্চতা অনেক সময়ই গুরত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ উচু তাকে জিনিস রাখা থেকে শুরু করে অনেক কাজেই উচ্চতা বেশি হওয়া প্রয়োজন।
অধিকাংশ এয়ারলাইন্স স্টুয়ার্ডেসদের জন্য নিঁখুত বডি শেপ প্রয়োজন পরে না। তাদের শুধু উচ্চতা ও ওজনের অনুপাতটা ঠিক থাকলেই চলে। অর্থাৎ BMI – Body Mass Index. কারো কেজিতে দেহের ওজনকে, মিটারে দেহের উচ্চতার বর্গ দিয়ে ভাগ করলেই পাওয়া যাবে তার BMI। এবং আদর্শ BMI বজায় রাখাটা জরুরি। দেহের ওজন উচ্চতার তুলনায় খুব বেশি বা কম হলে তা কাজ করার জন্য অসুবিধাজনক হয়ে দাঁড়ায় । নারীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫.৩” ইঞ্চি অথবা ১৬০ সেঃমিঃ এবং উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ১৩২ পাউন্ড অথবা ৬০ কেজি। সেক্ষেত্রে BMI ৬০/১.৬*১.৬ স্বাভাবিক।
যৌবনের গান শুধু কবি না সবাই গাইতে চায়! এয়ারলাইন্সগুলোও যৌবনকে দলে টানতে চায়। অবশ্য তরুণরাই এই জবে বেশি যায়। এবং তাদের সংখ্যাই বেশি। আবার কেউ আছেন তরুণ বয়সেই দেখতে বয়স্ক মানুষের মত; তারা পিছিয়ে থাকবেন এক্ষেত্রে। বেশিরভাগ এয়ারলাইন্সেই বয়সের নির্দিষ্ট সীমা নেই। তবে আমেরিকান কোম্পানী Delta Airlines শুধু অনুর্ধ্ব ২৫ বছর বয়সের প্রার্থীদেরই সুযোগ আছে। প্রাণোচ্ছল তরুণ বয়স্কদের চেয়ে অধিক কর্মঠ হয় বলেই হয়ত কোন কোন এয়ারলাইন্স শর্ত জুড়ে দেয়।
এয়ার হোস্টেস, কেবিন ক্রু হিসেবে কাজ করতে গিয়ে যে কেউ পরতে পারেন বিভিন্ন বিরক্তিকর, অসহ্য, বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে। কিংবা কারো থেকে টিজের শিকারও হতে পারেন। কিংবা কোন সন্ত্রাসী হামলার মুখেও পরতে পারে।
এজন্যই Hong Kong Airlines তাদের স্টুয়ার্ডেসদের জন্য কুংফু ট্রেনিং ক্লাসের ব্যবস্থা করে থাকে।
এয়ার হোস্টেস বা বিমান বালা হওয়ার একাডেমিক বা প্রফেশনাল যোগ্যতার ব্যাপারেও সুনির্দিষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। এগুলার পাশাপাশি যাত্রীদের আবশ্যকীয় নিয়মকানুন সম্পর্কে অবগত করানো, আপত্কালীন ব্যবস্থা নিয়ে জানানো, দেখভাল করা সবই তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। শত ঝঞ্ঝাট এর মধ্যেও সর্বদা হাসিমুখে তাদের কাজ করে যেতে হয়।
চলুন, জেনেনি আজ এই বিশেষ পেশায় আসতে গেলে কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে আপনাকে।
যেকোনো শাখার গ্রাজুয়েটরা বা ১০+২ যোগ্যতার ভিত্তিতেই এই চাকরিতে পা রাখা যায়।
যেহেতু এই জবে তারুণ্যকে সামনে রেখে পরিষেবার মানদন্ড নির্ধারিত হয় তাই এর বয়সের সময়সীমা থাকে ১৮-২৬। তাই অনেকটা আগে থেকেই এর জন্য তৈরী হয়ে থাকা ও পরিকল্পনা ঠিক করে নেওয়া দরকার। এস্পিরেন্টকে অবিবাহিত হতে হয়।
একটা নির্দিষ্ট উচ্চতায় উড়ান এর জন্য শারীরিক উচ্চতা গুরুতপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। সেই জন্য মিনিমাম ১৫৭.৫ সেন্টিমিটার বা ৫.১৬ ইঞ্চি উচ্চতা ধার্য করা হয়ে থাকে।
কাজের সংশ্লিষ্ট চাহিদার কারণেই আইসাইট প্রখর হওয়া শ্রেয়। দুটি চোখেই দৃষ্টিশক্তির পরিমাপ ৬/৬ বা ৬/২৪ হতে হয়। বর্ণান্ধতা থাকা চলবেনা।
এয়ার লাইন্স এর পরিধি সারাবিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকায় কথোপকথন এর জন্য ও অনান্য আনুসঙ্গিক কাজ করার জন্য ইংরেজি বলতে, লিখতে ও পড়তে খুব ভালোভাবে জানা দরকার। এছাড়াও বিদেশী কিছু ভাষা যেমন রাশিয়ান, জার্মান, ফ্রেন্চ ইত্যাদি জানা থাকলে বা এগুলোর উপর কোর্স করা থাকলে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়।
সম্পূর্ণ শারীরিক সুস্থতা একান্তভাবেই কাম্য। বহাল করার আগে মেডিকেল টেস্ট করিয়ে নেওয়া হয় তাতে উত্তীর্ণ হতে হয়। কোনোরকম মানসিক অসুস্থতার রেকর্ড থাকা যাবে না।
এছাড়াও বিমান বালা চাকুরি প্রার্থীদের জন্য ভারতীয় পাসপোর্ট থাকা দরকার।
এই পেশায় বিহেভিয়ার বা আচরণের গুরুত্ব সবচয়ে বেশি। যোগ্যতার থেকেও বেশি অনুশাসনের উপর জোর দেওয়া হয় তাই কিছু শর্ত স্বাভাবিকভাবেই অন্যতম ক্র্য়াইটেরিয়া হিসেবে উঠে আসে।
গলার মিষ্টতা গুড লুকস ফ্রেন্ডলি ব্যবহার ও সামাজিক ইন্টারএকশনের দক্ষতা যাচাই করা হয়।
ভাষাগত জ্ঞান ও কমিউনিকেশন স্কিল এর উপর নজর দেয়া হয়।
ফ্লাইটে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিলে অথবা ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং অথবা প্যাসেঞ্জার অসুস্থ হলে বা প্যানিক করলে কখনো মানসিক দৃঢ়তা দিয়ে তাদের সহযোগিতা করা আবার কখনো ভাবনাচিন্তার অভিনবত্ব দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হয়।
বিমানে কেবিন ক্র’দের সাধারনত ১২-১৪ জনের টিম থাকে। তাই দৈনিক কাজ ও দায়িত্ব একে অপরের সাথে বোঝাপড়া ও সদ্ভাব বজায় রাখা উহ্য হয়ে পড়ে।
যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থেকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রেখে কাজ করতে হয়। মোদ্দা কথা হলো ওয়ার্কলোড নেবার।
প্যাসেঞ্জারদের বায়ান্নক্কা সামলানো হোক বা ফ্লাইট ডিলে বা টেকনিক্যাল সমস্যা এসবের ক্ষেত্রে কাজের নরমাল এর থেকে ৩-৪ঘোন্ত মত বাড়তে পারে। তাই পরিবর্তিত সব পরিস্থিতি তে মানিয়ে নেবার মত ধৈর্য্য ও মানসিক কাঠিন্য রাখতে হয়।