চারিদিকে পাহাড় ঘেরা প্রকৃতির উষ্ণ হাতছানি, চাবাগান, নানা রঙের পাখী, পাহাড়, বরফ সবকিছু মিলে মন ভাল করে দেওয়ার জায়গা সিকিম। কদিনের অবসরে ঘুরে আসতে পারেন অনিন্দ সুন্দর জায়গাটি।
ক্লান্তি দূর করতে কয়েকদিনের জন্য ছুটি কাটাতে চাইলে আপনার গন্তব্য হতে পারে সিকিম। প্রকৃতির অপার্থিব সৌন্দর্য তো আছেই, সাথে অনাবিল শান্তিবাগডোরা এয়ারপোর্ট থেকে এক ঘন্টার ড্রাইভ নামাচি। নামাচি অর্থ আকাশ ছোয়া। নামাচির সবচেয়ে আকর্ষন হলো চারধাম। জায়গাটি ভালভাবে ঘুরে দেখতে দু’ঘন্টা সময়ই যথেষ্ট।
শহর থেকে সাত কিঃমিঃ দূরে সামুদ্রæপ। পাহাড়ের উপর মনাষ্ট্রি। স্থানীয়রা মনে করে এই পাহাড় আসলে একটি ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি। জুতা খুলে ২০০ গজ উপরে উঠতে হয়। এখানে রয়েছে গুরু পাম সাম্ভারের ৪৫ মিটার উচু মূর্তি।
নামচি থেকে ফেরার পথে দেখে নিন রক গার্ডেন। এছাড়াও দেখতে পারেন গামকে মনাষ্ট্রি, ভাইচং স্টেডিয়াম। সারা বছরই এখানে ভিড় লেগে থাকে।নামাচি যাওয়ার সেরা সময় মার্চ থেকে অক্টোবর। নামাচিতে সারদুপ চোলিং মনাষ্ট্রির কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘা হ্যান্ডিক্রাফট সেন্টার যেতে ভুলবেন না। প্রয়োজনে এখান থেকে প্রিয়জনের জন্য কিছু একটা কিনতে পারেন।এছাড়া আর একটি দর্শনীয় স্থান হচ্ছে রাবাংলা। হিমালয়ের কোলে ৭০০০ ফিট উচুতে ছবিরমতো সুন্দর শহর রাবাংলা। এখান থেকেই পোলিং বালু বা নমাচি যায় বেশির ভাগ পর্যটকরা। শহর থেকে এক কিঃমিঃ দূরে বৌদ্ধ পার্ক। ১৩০ ফুট উচু বৌদ্ধ মূর্তি এখানকার প্রধান আকর্ষন। এখানকার পার্কটি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এন্ট্রি ফি ৫০ টাকা।
পার্কের ভিতর পাবেন বাটার ল্যাম্প। দাম মাত্র ২০ টাকা। শহর থেকে ১০ কি.মি. দূরে নিউ এ্যান্ড ওল্ড বাংলা মনাষ্ট্রি। পুরানো দিনের ঐতিহ্যের ছোয়া রয়েছে মনাষ্ট্রিতে উপভোগ করতে পারেন প্র¯্রবন। এই প্র¯্রবনের পানিতে নাকি লুকিয়ে আছে রোগব্যধি সারার মহাওষধ।কাঞ্চনজঙ্ঘাকে কাছ থেকে দেখতে চাইলে যেতে হবে মায়েনাম হিল। মোটামুটি ৯ কি.মি. ট্রেকিং করতে হবে। এখান থেকেই হাইকিং করে পৌছাতে পারেন হোয়াং এবং ইয়াং ইয়াং গ্রাম।
মায়েনামের জঙ্গলে রভোডেনজন, চেষ্টনার্ট, ম্যাসনোলিয়া এক গাছের আধিক্য বেশি। এখানে নানা প্রজাতির হরিনের দেখা পাবেন। মায়েনাম স্যাঙচুয়ারি জোনে প্রায় ৭০০ রকমের প্রজাপতি আর ১৪৩ প্রজাতির পাখির দেখা মিলবে। কমন পার্টিজ, হোয়াইট কালার্ড বøাকবার্ড, ইন্ডিয়ান রবিন, ফ্লাই ক্যাচার ছাড়াও কতো রকম পাখী। পাখী প্রেমীদের জন্য একটি পারফেক্ট ডেস্টিনেশন।
বেড়ানোর জন্য এপ্রিল থেকে জুন মাস ভাল সময়। এপ্রিলে এখানে কালচার এন্ড ক্রাফট ফেষ্টিভাল হয়। এই সময় রাবাংলা পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট থাকে।