বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন

চলো যাই কোভালাম বিচ ঘুরে আসি

  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ মার্চ, ২০২৩

পেপে, কলা, নারিকেল গাছে ছাওয়া কোভালাম বিচ দেখতে অনেকটা ধনুকের মতো। নীল আকােেশর নীচে সমুদ্র, প্রশস্তবেলাভূমি আর ছোট বড় রেস্তোরা। সারাটি বছর জুড়ে, বিদেশী পর্যটকদের ভীড় লেগেই থাকে।অনেকে তো এর নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে এখানে ঘরবাড়ী বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন। বিদেশী পর্যটকগদের কাছে কোভালাম অত্যন্ত প্রিয়। এখানে আছে লাইট হাউজ নামে একটি বিচ। এখানে বিদেশীদের ভিড় থাকে। বিচেই সানবাথ নিতে দেখা যায় সুন্দরীদের। পাবেন সামুদ্রিক মাছের পসরা। গরম গরম ফ্রাইড রাইস বা গ্রিল্ড ফিসের সাথে চিলড বিয়ারে চুমুক দিয়ে সমুদ্রে আলস সময় কাটাতে ভালই লাগবে।

 

 

 

সমুদ্রে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য সত্যি অতুলনীয়। জার্মান বেকারিতে ব্রেকফাষ্টে বেকন পটেটো, চিজ, স্ক্রাম্বেল এগ খেতে পারেন। এরপর যেতে পারেন কোভালাম সার্ফ ক্লাবে। এখানে আয়ুর্বেদিক ম্যাসেজ পার্লারের ড়াছড়ি। থিরাপিষ্টের হাতের যাদু নিশিষেই আপনার সমস্ত ক্লান্তি উধাও হয়ে যাবে। স্পিড বোট ভাড়া করে, ঘুরে বেড়াতে পারেন সমুদ্রে। নায়ার ওয়াইল্ড লাইফ স্যাঙ্কুয়ারিতে দেখা মিলবে গন্ডার, শাম্বার, হাতি ছাড়াও নানা জীবজন্তু।বিচের চারপাশে নানারকম পসরা নিয়ে বসে আছে দোকানিরা। বাটিক প্রিন্টের লুঙ্গি, ঝিনুক, ছোবড়া, শাখার তৈরি নানারকম জিনিস। কথাকলি নৃত্যের মুখোশ পাবেন এখানে। এছাড়াও নানা রকমের স্যুভেনির পাওয়া যায়। কেরলের মসলা খুবই প্রসিদ্ধ। দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু। ফেরার পথে বাড়ীর জন্য মসলা কিনতে ভুলবেন না।

কোলকাতা থেকে ট্রেনে বা প্লেনে ত্রিবান্দাম যেতে হবে। সেখান থেকে বাস বা টেক্সিতে কোভালাম যেতে  পারেন। তপোবন বিচ রিসোর্ট বা সোনা থিরাম আয়ুর্বেদিক রিসোর্ট উঠলে যে কয়দিন এখানে থাকবেন নিয়মিত ম্যাসেজ থেরাপি করতে পারেন। আশাকরি এক অনাবিল আনন্দ নিয়ে কোভালাম থেকে ফিরবেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com