কর্মব্যস্ত জীবনের সীমানা পেরিয়ে মাঝে মধ্যেই ছুটে যেতে ইচ্ছা করে নৈসর্গিক কোনও নতুন পরিবেশে। যেখানে নেই কোনো কাজের তাড়া, নেই কোনো পিছুটান। রোজকার একঘেয়েমি বিরক্তিকর জীবন থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বেরিয়ে পড়েন মনের মতো জায়গার খোঁজে। এমতাবস্থায় এই বর্ষাকালে সবাইকার প্রথম পছন্দ হলো সমুদ্র।
সমুদ্রের মাদকতাকে উপেক্ষা করে এই সাধ্যি কার? এমনিতেই আমরা এমন এক দেশে থাকি যার তিনদিক সমুদ্রে ঘেরা। আর তারসাথে আমাদের দেশের প্রতিটি সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য সত্যিই নজর কাড়ার মতো। তবে বাঙালিরা সমুদ্র বলতে সচরাচর দীঘা বা পুরিকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এমতাবস্থায় আপনি যদি দীঘা বা পুরি যেতে না চান তাহলে অবশ্যই অফবিট ডেস্টিনেশন (Offbeat Destination) এই সমুদ্র সৈকত ঘুরে আসা উচিত।
একথা জানেন কি, দীঘা (Digha), পুরী ছাড়াও আমাদের বাংলার বুকে বা বাংলার খুব কাছে এমন অনেক সমুদ্র সৈকত আছে যেগুলির নির্জনতা আপনাকে মুগ্ধ করবে। আজ এমনই এক সমুদ্র সৈকতের সন্ধান দেব যেখানে নীল জলরাশির পাশাপাশি বোনাস হিসেবে মিলবে লাল কাঁকড়ার আনাগোনা।
আমরা বলছি দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) নির্জন সমুদ্রসৈকত জি-প্লটের কথা। এই জায়গার আরো একটি নাম হল গোবর্ধনপুর (Gobardhanpur)। কলকাতাবাসীর ঢিল ছোঁড়া দূরেই অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকত। তাই কর্ম অবসর সময়ে বা সপ্তাহান্তে ছুটি কাটানোর জন্য একেবারে আদর্শ জায়গা হতে পারে এই স্থান।
একদিকে সুন্দরবনের ঘন জঙ্গল, অন্যদিকে নির্জন সমুদ্র। নীল এবং সবুজের মিশেলে এক অনবদ্য সৌন্দর্য তৈরি হয়েছে এখানে। পাশাপাশি দেখা মিলবে লাল কাঁকড়ার বিপুল সম্ভার। সাথে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিকেও বিশেষ নজর কাড়বে জায়গাটি। এবং ভিড় ভাট্টাও বিশেষ নেই। সবে মিলিয়ে আপনার পরের গন্তব্য হতেই পারে গোবর্ধনপুর।
কীভাবে যাবেন : ট্রেনে যেতে চাইলে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে কাকদ্বীপে। এরপর সেখান থেকে পাথর প্রতিমা হয়ে লঞ্চে করে পৌঁছে যাবেন গোবর্ধনপুরে। এছাড়া বাসের রুটও আছে বলে খবর।