সিকিমের নাম শুনলেই পাহাড়প্রেমীরা পারলে এক দৌড়ে সেখানে চলে যেতে চান। সিকিমের রাজ্যেই অবস্থিত কাঞ্চনজঙ্ঘা। যা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ। ভারতের দার্জিলিংয়ের মতোই সিকিমে যেতে ভালবাসেন অনেকে।
তবে সিকিমের পরিচিত স্থানগুলোর বদলে এবার ঘুরে আসতে পারেন কিছু অফবিট এলাকায়। যারা নিরিবিলি কিছুটা সময় অবসর যাপন করতে চান তাদের জন্য সেরা হতে পারে সিকিমের কয়েকটি অফবিট প্লেস। চলুন জেনে নেওয়া যাক সিকিম ভ্রমণে কোন কোন অফবিট প্লেসে ঢুঁ মারতে ভুলবেন না-
জংগু সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি শহর। রাজধানী গ্যাংটক থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছোট্ট শহর জংগু। লেপচা উপজাতিদের এই ছোট্ট শহরের তিনভংয়ে গেলে দেখা মিলবে লেপচাদের। সেখানে তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগও পাওয়া যাবে।
পাশাপাশি জংগুতে গেলে পাবেন অরগ্যানিক উপায়ে চাষ করা নানা খাবার। এই তালিকায় আছে ধান, বাজরা, এলাচ, কমলালেবুর মতো খাবার ও ফল। ইকো ট্যুরিজম করা হয়েছে জংগুকে। তাই সেখানে থাকার জন্য হোম স্টে পেয়ে যাবেন।
মিয়ানাম ও টেন্ডং পাহাড়ের মাঝখানে রাওয়াংলা অবস্থিত। সিকিমের ছোট শহর এটি। সিকিমের একমাত্র চা বাগান টেমি এই শহরেই আছে। টেমি গ্রামের চায়ে এক চুমুক দিলেই শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে যায় পর্যটকদের।
সিকিমের বিভিন্ন স্থানের মধ্যে মঠ উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে অন্য়তম মঠ রালং মনাস্ট্রি রাওয়াংলাতেই আছে। সেই মঠে গিয়েও সময় কাটাতে পারবেন ইচ্ছেমতো। মঠের অপূর্ব সুন্দর বুদ্ধ মূর্তি যে কারও চোখ ধাঁধাবে।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি ধরে নিতে পারেন। গাড়িতে করে সেবক, কালিম্পং হয়ে যেতে হবে রাওয়াংলা। ট্রেনে করে প্রথমে নিউ জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে সিংতাম হয়ে জংগু যেতে হবে। সময় লাগে ৬-৭ ঘণ্টা। গাড়ি বুক করে যেতে পারেন। নয় তো শেয়ার গাড়িও ভাড়া পাওয়া যায়।
শীত অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় সিকিমে গেলে ঠিকমতো ঘুরতে অসুবিধা হতে পারে। কারণ এ সময় বরফে বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ থাকতে পারে। উত্তর সিকিমে মাঝে মাঝে ধস নামে।
বর্ষায় সিকিমের অনেক জায়গায় পরিবহন অচল হয়ে যায়। তাই সিকিমে বেড়াতে যাওয়ার সেরা সময় হলো ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মে মাস ও সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত।
সূত্র: এবিপি নিউজ