সবুজেঘেরা এই উদ্যানের কাছেই রয়েছে সুরমা চা বাগান। বনে ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে তিনটি ভিন্ন দৈর্ঘ্যের ট্রেইল রয়েছে
প্রকৃতিপ্রেমীদের ভ্রমণের জন্য আদর্শ একটি গন্তব্য হতে পারে হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। রাজধানী ঢাকা থেকে দিনে গিয়ে দিনে রওনা করে রাতের মধ্যেই ফিরে আসা যায় সাতছড়ি থেকে। বিশাল এলাকাজুড়ে এই বনে দেখা মিলবে বন মোরগ, হরিণ, ভালুক, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, বানরসহ আরও কয়েক প্রজাতির পশুপাখি।
সাতছড়ি উদ্যানের প্রবেশপথেই রয়েছে একটি ওয়াচ টাওয়ার। প্রবেশ গেটের উল্টো পাশেই রয়েছে গত বছর চালু হওয়া ট্রি অ্যাক্টিভিটি। জনপ্রতি ১০০ টাকার বিনিময়ে এই ট্রি অ্যাক্টিভিটিতে রয়েছে মোট পাঁচটি ধাপ।
সবুজেঘেরা এই উদ্যানের কাছেই রয়েছে সুরমা চা বাগান। বনে ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে তিনটি ভিন্ন দৈর্ঘ্যের ট্রেইল (যাতায়াতের পথ) রয়েছে।
৩০ মিনিটের ট্রেইল: ৩০ মিনিটের এই ট্রেইল ব্যবহার করে বনের ভেতরের টিপড়া পাড়া গ্রামে যাওয়া যায়।
এক ঘণ্টার ট্রেইল: এক ঘণ্টার এই ট্রেইলে দেখা মিলবে কয়েক প্রজাতির পশু-পাখির।
তিন ঘণ্টার ট্রেইল: আগরের বন আর বিভিন্ন ধরনের গাছপালা ও পশুপাখি দেখার জন্য এই ট্রেইল আদর্শ।
সতর্কতা:
– সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে কর্মরত এক ভ্রমণগাইডের ভাষ্যমতে, বৈচিত্র্যময় পথের কারণে তিন ঘণ্টার ট্রেইলে গাইডরাও মাঝেমধ্যে রাস্তা ভুলে যান।
– বনে সাপসহ বেশকিছু হিংস্র প্রাণী থাকায় গাইডের সহায়তা নেওয়াই ভালো।
– গাছের গায়ে সবুজ রংয়ের বিষধর সাপ জড়িয়ে থাকতে পারে। তাই গাছে হাত দেওয়ার আগে ভালো করে খেয়াল করে নিতে হবে।
– সাতছড়ি উদ্যানের বেশিরভাগ জায়গায়ই কোনো অপারেটরের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না।
– সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি নিয়ে নিতে হবে। কারণ বনের ভেতরে কোথাও পানি পাওয়া যায় না।
কীভাবে যাবেন:
রাজধানীর বিমানবন্দর স্টেশন থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে পারাবত এক্সপ্রেস (কমলাপুর থেকে ৬টা ৩৫) সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সাতছড়ি যেতে হলে নামতে হবে নোয়াপাড়া স্টেশনে। সকালের ট্রেনে উঠলে ১০টার মধ্যেই পৌঁছানো যাবে। স্টেশনে নেমে প্ল্যাটফর্মের বিপরীতেই নোয়াপাড়া বাজার থেকে সিএনজি-অটো রিকশায় করে সরাসরি সাতছড়ি পৌঁছাতে পারবেন। এছাড়া, চাইলে শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে নেমে সেখান থেকে সিএনজি কিংবা অটো রিকশায় চুনারুঘাট হয়ে বাসে সাতছড়ি যাওয়া যায়।
তবে, সিএনজি-অটো রিকশার ভাড়া করার ক্ষেত্রে দরদাম যাচাই করে নেওয়া উচিত। পর্যটক দেখলেই এরা বেশি ভাড়া চেয়ে বসে। ভাড়া করার আগে কাঙ্খিত গন্তব্যস্থল ও ভাড়ার চুক্তি করে নেবেন।