ছেলেমেয়েদের ক্লাসের পরীক্ষার প্রায় শেষের মুখে। অনেকেই বেড়াতে যাওয়ার সুলুক সন্ধান করছেন। এরপর পড়বে গরমের ছুটি। পাহাড় নাকি সমুদ্র কোথায় বেড়াতে যাবেন তানিয়ে টানাপোড়েন লেগেই আছে। সমতলে গরম সবে পড়তে শুরু করেছে। এই সময় মন চায় পাহাড়ের নির্জনতায়, হাল্কা ঠান্ডায় কদিন ঘুরে আসতে। একেবারে পাহাড়ে ঘেরা নির্জন গ্রামে দিন তিনেক কাটাতে চান? ঘুরে আসতে পারেন শ্রীখোলা। দার্জিলিং শহর থেকে প্রায় ৮৭ কিলোমিটার দূরে এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম শ্রীখোলা। কাছেই রয়েছে রিম্বিক। মানে রিম্বিক হয়েই যেতে হয় শ্রীখোলা। ছবির মত সুন্দর গ্রাম শ্রীখোলা। নামেও শ্রী আর দেখতেও সুশ্রী।
এনজিপি থেকে গাড়ি নিয়ে ঘুম রিম্বিক হয়ে সরাসরি চলে আসা যায় শ্রীখোলা। ছবির মতো সুন্দর পাহাড়ি নির্জন গ্রাম। ঘুম থেকেই উঠেই দেখবেন দুপাশে পাহাড়ী ফুলের সারি।রিম্বিকে কিছুটা লোকজনের বাস। ইদানিং কিছুটা ঘিঞ্জি। তারপরই শুরু হবে নির্জন পথ।
সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে পাহাড়ের নির্জনতায় মন শরীর দুটোকেই ডুবিয়ে দিন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পরেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসবে। আর তারপরেই ঝুপ করে রাত। একেবারে নিঝুম। মনে হবে সভ্যজগৎ থেকে কত দূরে আপনি।
সকাল এখানে আসে অন্যরকমভাবে। সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল ফরেস্টের অন্তর্গত এই শ্রীখোলা। সান্দাকফু ফালুট ট্রেক রুটের মধ্যে পড়ে শ্রীখোলা। রোডোডেনড্রন আর ম্যাগনেলিয়ার মাঝে সরু রাস্তা। ফালুট থেকে শ্রীখোলা ৩০কিলোমিটার দূরত্ব।
পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে শ্রীখোলা নদী। পাথরের উপর দিয়ে তির তির করে জলের ধারা। কিছুক্ষণ বসে থাকুন সেই জলে পা ডুবিয়ে। মন প্রাণ সব জুড়িয়ে যাবে।
শ্রীখোলাকে অনেকে পাখির দেশ বলেন। কথাটা যে কোনও অংশে ভুল নয় তা সকালে উঠেই বুঝতে পারবেন। চারদিকে নাম না জানা পাখির শব্দ। এক অন্যরকম অনুভূতি হবে আপনার। শহরের ব্যস্ততা, নাগরিক জীবনের কোলাহল থেকে অনেক দূরে। পাহাড়. নদী, পাখি আর ফুলের রাজ্যে কাটিয়ে আসুন কয়েকটা দিন।
কীভাবে যাবেন শ্রীখোলাতে? এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়িতে যেতে পারেন শ্রীখোলা। শিলিগুড়ি তেনজিম নোরগে বাস টার্মিনাস থেকেও গাড়ি পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমেও গাড়িতে সরাসরি চলে যান শ্রীখোলা।