বৈচিত্র্যময় দেশ হলো ভারতবর্ষ। এখানে যেমন একদিকে রয়েছে উচ্চ-উচ্চ শৃঙ্গ ঠিক সেই রকমই আবার রয়েছে সমুদ্রতট। বিশ্বে যা রয়েছে তাই যেন রয়েছে ভারতে। যে কারণে ভারতকে উপমহাদেশ আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। আর ভারতের এই বৈচিত্র্যময় স্থানগুলি দেখার জন্য বিশ্বের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটে যান। তবে বাঙালিদের অধিকাংশকেই দার্জিলিং ডুয়ার্স ইত্যাদি পরিচিত জায়গাতেই ঘুরতে যেতে দেখা যায়। এসবের বাইরেও ধারে কাছে এমন একটি জায়গা রয়েছে যা গেলে আর ফিরে আসতে ইচ্ছে করবে না।
নতুন যে জায়গার কথা বলা হচ্ছে তা ছত্তিশগড় রাজ্যে অবস্থিত। এখানে বহু দর্শনীয় স্থান রয়েছে এবং সেগুলির টানে পর্যটকদের বারে বারে ফিরে আসতে দেখা যায়। আর আমরা যে জায়গাটির কথা বলছি তার নাম হলো মাইনপাট (Mainpat)। এটি একটি শৈল শহর এবং একে অনেকেই বলে থাকেন ‘ছত্তিশগড়ের তিব্বত’।
ছত্তিশগড়ের রাজধানি বিলাসপুর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শহরটি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একেবারে দুর্লভ। ঠিক যেন সম্পূর্ণ আলাদাভাবে এই শহরকে সাজানো হয়েছে। চারদিক সবুজে ঘেরা আর এই এলাকায় গ্রীষ্মকালেও আসা যেতে পারে। কারণ এখানে সেই ভাবে গরম অনুভূত হয় না।
এই জায়গাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুট উপরে রয়েছে। বিন্ধ্য পর্বতমালার কোলে অবস্থিত ধারে কাছে মনোরম একটি জায়গা হল মাইনপাট। এখানে গ্রীষ্মকালে যেমন ঘুরে আসা যায় ঠিক সেই রকমই আবার শীতকালে তুষারপাতও লক্ষ্য করা যায়।
তবে প্রশ্ন জাগতে পারে কেন এই এলাকার নাম মিনি তিব্বত বা ছত্তিশগড়ের তিব্বত? এখানে ১৯৬২ সাল থেকে উদ্বাস্তু তিব্বতিরা বসতি স্থাপন করেন। সেখানে ভগবান বুদ্ধের বৌদ্ধ মঠ রয়েছে। এখানে থাকা বৌদ্ধমন্দির এলাকার অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এছাড়াও এখানে দেখার মতো জায়গা হিসেবে রয়েছে অনেক কিছুই। তার মধ্যে অন্যতম হলো ঝরনা, টাইগার পয়েন্ট, মছলি পয়েন্ট ইত্যাদি।