চট্টগ্রাম শহরের যেকোনো স্থান থেকেই বাস অথবা টেম্পুতে করে চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতু বা তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর কাছে যেতে পারেন।সেখানে গেলেই আপনি বটতলী মহসিন আউলিয়ার মাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখবেন। পারকি বিচে যেতে হলে আপনাকে বটতলী মহসিন আউলিয়া মাজারগামী বাসে উঠতে হবে।
বাসে উঠে কন্ডাক্টরকে বলতে হবে যেন আপনাকে ‘সেন্টার’ নামক স্থানে নামিয়ে দেয়।জায়গাটির প্রকৃত নাম মালখান বাজার, তবে এটি সেন্টার নামেই পরিচিত। এতটুকু পর্যন্ত আসতে বাসে জনপ্রতি ২৫-৩০ টাকা করে নেবে। সেন্টারে নেমে বিচে যাবার জন্য সিএনজি পাবেন। রিজার্ভ করলে ১০০-১৫০ টাকাতেই পৌঁছে দেবে পারকি সমুদ্র সৈকতে। বিচে যাবার আগে খাবার-দাবারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সেন্টার বাজার কিংবা কিছুটা দূরেই চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার হাউজিং কলোনিসংলগ্ন বাজার থেকে নিয়ে নিতে পারেন। বিচেও কিছু দোকান-পাট রয়েছে, তবে তাতে সবকিছু না’ও পেতে পারেন। আর যে কোন সমস্যার জন্য সমুদ্র সৈকতের কাছেই রাঙ্গাদিয়া পুলিশফাঁড়িতে যোগাযোগ করতে পারেন।
আবাসন সুবিধা
পর্যটকের আগমণের কারণে এখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠছে মোটেল। যেটা খুব শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে আপাতত এখানে থাকার কোন ব্যবস্থা নেই। তাই পারকি সমুদ্র সৈকতে আসতে হলে সকালের দিকে আসাটাই সবচেয়ে ভালো।
খাওয়ার ব্যবস্থা
খাবারের জন্য সমুদ্র সৈকতের সাথেই ছোট ছোট রেষ্টুরেন্ট পাবেন। সেখানে সামুদ্রিক মাছসহ নানা ধরনের খাবারের সু-ব্যবস্থা তো আছেই।
ইচ্ছে করলে সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, কাকড়া বার বি কিউ করে খেতে পারবেন এমন ব্যবস্থাও আছে সেখানে।তবে দামাদামী করে সব খাবার কিনবেন।
এমনিতে ছোট ছোট অস্থায়ী দোকানগুলো থেকে ঝিনুকের মালা, সামুদ্রিক পাথর, বিভিন্ন শামুক একং ঝিনুকের শো-স, চাটনি, খেলনা কিনতে পারবেন।
বোট ভ্রমণ
হাল্কা ঢেউতে স্পিডবোটে ঘুরলে ক্লান্তি দূর হবে। বোটে জনপ্রতি ১০০-১২০ টাকা ভাড়া নিবে।মন চাইলে ফটোশুট করতে পারবেন তবে সেখানেও দামাদমি করে নিবেন। ঝাউবন ঘেঁষে উত্তর দিক বরাবর হেঁটে গেলে দেখতে পাবেন বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলী নদীর মোহনা।
পরিশেষে সারাদিন থেকে সূর্যাস্ত দেখে একটা সুন্দর স্মৃতি নিয়ে ফিরে আসতে পারবেন।