নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়ে। বাল্টিক দেশগুলোর অন্যতম দেশ নরওয়ে। নরওয়ে, সুইডেন, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া- এই দেশগুলো বাল্টিক দেশ হিসেবে অধিকাংশ মানুষ চিনে থাকে। এসব দেশে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। আজ আপনাদের জানাবো নরওয়ের সেরা ৯ দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। আসুন জেনে নেয়া যাক-
১. আল্টা
২. অ্যারেন্ডাল
ছবির মতো শহর অ্যারেন্ডাল। এখানে একটি টাওয়ার রয়েছে যা দূর থেকেও দেখা যায়। পুরনো ভবন ও গীর্জার জন্য শহরটি মানুষের কাছে পরিচিত। শহরটিতে রয়েছে অনেকগুলো রেস্তোরাঁ অভিজাত জায়গা।
৩. নর্ডক্যাপ
আটলান্টিক সমুদ্রে অবস্থিত একটি দ্বীপ নর্ডক্যাপ। এটি জনপ্রিয় একটি দ্বীপ শহর। এই শহর থেকেই ইউরোপে জাহাজে করে পণ্য সরবরাহ করা হয়। এখানে প্রকৃতির উষ্ণ আভায় মেতে থাকার জন্য পর্যটকরা ভ্রমণ করে থাকেন।
৪. রোরোস
নরওয়ের শীতল জায়গাগুলোর অন্যতম। এখানে শীতকালে ক্রিসমাস উপলক্ষে বাজার বসে। পর্যটকদের দেখার জন্য এখানে রয়েছে রোরোস গীর্জা। গীর্জাটি সুশোভিত। এই শহরে রয়েছে অনেক পুরনো রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে। এছাড়া অনেক ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন রয়েছে।
৫. বোডো
নরওয়েজিয়ান সমুদ্রের পাশে এই শহরের অবস্থান। বোডো শহর নরওয়ের উত্তরের অন্যতম শহর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই শহরের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলো। প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকরা এখানে এসে থাকেন।
৬. জোস্টেডালসব্রিন ন্যাশনাল পার্ক
১৯৯১ সালে পার্কটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। নরওয়ের পশ্চিমে এটি অবস্থিত। এখানে রয়েছে বিশাল পাহাড়, উপত্যকা এবং ঝরনা। উল্লেখ্য, এখানকার ঝরনা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝরনা। পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এই ঝরনা।
৭. অ্যালিসান্ড
নরওয়ের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত অ্যালিসান্ডে অসংখ্য পাহাড় রয়েছে। ১৯০৪ সালে এক অগ্নিকাণ্ডের পর শহরটি পুনর্গঠন করা হয়। আর্ট নোউভিয়াউ সেন্টার থেকে পর্যটকরা এখানকার শিল্পসাহিত্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে। শিল্পসাহিত্যপ্রেমী পর্যটকরা এখানে ভ্রমণ করে থাকেন।
৮. ট্রমসো
উত্তর নরওয়ের সবচেয়ে বড় শহর ট্রমসো। অষ্টাদশ শতাব্দিতে নির্মিত কাঠের বাড়ি এই শহরের অন্যতম আকর্ষণ। এই শহরে অনেক পাহাড় আছে। যেসব পর্যটক অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন সেসব পর্যটককে এখানে বেশি ভ্রমণ করতে দেখা যায়। এই শহরে আকর্ষণীয় আরেকটি জায়গা হলো পোলার মিউজিয়াম।
৯. অসলো
সবুজ পাহাড় পর্বতে ঘেরা শহর অসলো। অসলো নরওয়ের রাজধানী। নরওয়ের অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র এই শহর। এই শহরে রয়েছে সমসাময়িক সময়ের স্থাপত্যের নিদর্শন। এসব নিদর্শন দেখার জন্য মানুষ অসলো শহরে ভ্রমণ করে থাকে।