শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন

ঘুরে আসুন থাইল্যান্ড

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

ঘুরে আসা যাক থাইল্যান্ড থেকে। কর্মব্যস্ত জীবনের ফাঁকে থাইল্যান্ডে কাটানো যেতে পারে আনন্দময় কিছুটা সময়। কিন্তু কোন জায়গাগুলো বেশি সুন্দর? জানাচ্ছি থাইল্যান্ডের সেরা ১৩ জায়গার কথা, যেসব জায়গা ঘুরে এলে আপনার মন ভালো হতে বাধ্য!

১. কো ফি ফি 

Dhaka Post

থাইল্যান্ডের ক্রাভি প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় ফুকেট শহরে ভ্রমণ স্মরণীয় করে রাখতে চাইলে দ্বীপটির তনসাই গ্রামে যেতে পারেন। এখানে রয়েছে জীবনকে উপভোগ করার সবকিছু। এর এক মাইল দক্ষিণে রয়েছে কো ফি ফি লেহ নামে স্বচ্ছ পানির উদ্যানসহ মরূদ্যান।

২. ব্যাংকক 

Dhaka Post

ব্যাংকক থাইল্যান্ডের রাজধানী এবং সবচেয়ে বড় শহর। প্রশ্ন ওঠে ব্যাংককে গেলে থাকার ব্যবস্থা আছে কি-না। অবশ্যই আছে। এখানে রয়েছে কসমোপলিসের সুউচ্চ দালান, অভিজাত ভবন, পুরনো মন্দির। এছাড়া কেনাকাটার জন্য রয়েছে বিলাসবহুল মার্কেট ও খাওয়াদাওয়ার জন্য রেস্তোরাঁ।

৩. চিয়াং মাই 

Dhaka Post

উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের আশেপাশে রয়েছে অঞ্চলটি। পাহাড়ঘেঁষা হলেও এখানে গেলে থাইল্যান্ডের ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন সম্পর্কে জানা যাবে। এছাড়া এখানে রয়েছে পুরনো মন্দির। এখানে থাইল্যান্ডের আদিবাসীদের বসবাস রয়েছে।

৪. কোহ তাও 

Dhaka Post

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় এই অঞ্চল ২১ বর্গকিলোমিটারের একটি দ্বীপ। এটি প্রকৃতপক্ষে একটি একটি সমুদ্রসৈকত। এখানে নৌকাচালনা, বাইকে ঘোরাঘুরি ও উর্ধ্বারোহণের সুযোগ রয়েছে।

৫. রেই লে 

Dhaka Post

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় আরেকটি শহর হলো রেই লে। এটি অন্যতম জনপ্রিয় জায়গা। এটিও সমুদ্রসৈকত। পাহাড়ের পাশে সমুদ্র উপভোগ করাসহ আরও অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে এখানে। পর্যটকরা এখানে ভ্রমণ করতে এলে অনেক আনন্দ নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবেন।

৬. কাঞ্চনবুড়ি 

Dhaka Post

থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত অঞ্চলটি ন্যাশনাল পার্ক হিসেবে পরিচিত। এছাড়া এটি আয়রন ব্রিজের জন্য বিখ্যাত ও জনপ্রিয়। ১৯৫৭ সালে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী চলচ্চিত্র ‘ব্রিজ ওভার দ্য রিভার কোয়াই‘ এর শুটিং হয়েছিলো এখানে। চলচ্চিত্রটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত। একারণেই এটি পর্যটকদের কাছে বেশি জনপ্রিয়।

৭. কো চাং 

Dhaka Post

থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিতীয় বড় দ্বীপ কো চাং। এই দ্বীপে রয়েছে বিলাসিতার সব রকম উপকরণ। কো চাংয়ের ৭০ ভাগ পাহাড়ি বনাঞ্চল দিয়ে পূর্ণ। এখানে গেলে আপনি বনাঞ্চলের অদূরে বিলাসবহুল রিসোর্টে থাকতে পারবেন।

৮. আয়ুথায়া 

Dhaka Post

আয়ুথায়া শহরটি চাও ফ্রায়া নদীর উপত্যকায় অবস্থিত। খ্রিস্টীয় ১৩৫০ অব্দে এই শহরে প্রথম বসতি গড়ে ওঠে। এক সময় শহরটি থাই রাজতন্ত্রের রাজধানী ছিলো। ১৭৬৭ সালে বার্মিজদের আক্রমণের ফলে শহরটি বার্মিজদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এখানে রয়েছে অসংখ্য বুদ্ধমূর্তি।

৯. খাও সোক ন্যাশনাল পার্ক 

Dhaka Post

খাও সোক ন্যাশনাল পার্কের কেন্দ্রে অবস্থিত রয়েছে চিউ ল্যান। এখানে নৌকারোহণের সুযোগ রয়েছে। পার্কটি পাহাড় ও বনাঞ্চলবেষ্টিত হওয়ায় পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য তা আকর্ষণীয়। এখানে রয়েছে নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী। অনেকে বন্যপ্রাণীদের দেখার জন্য পার্কটিতে ভ্রমণ করে থাকেন।

১০. ফুলকেত 

Dhaka Post

এটি জনপ্রিয় একটি সমুদ্রসৈকত। এছাড়া ফুলকেত থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ও বিলাসবহুল সমুদ্রসৈকত হিসেবে সমাদৃত। সমুদ্রসৈকতটি দক্ষিণ থাইল্যান্ডে অবস্থিত। ফুলকেতে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ রয়েছে।

১১. ফানোম র‌্যাঙ 

Dhaka Post

উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের ফানোম র‌্যাঙ একটি পুরনো হিন্দু মন্দির। নান্দনিক স্থাপত্যের টানে পর্যটকরা ফানোম র‌্যাঙে বেড়াতে আসেন। ন্যাঙ রঙ গ্রামের অদূরে অবস্থিত মন্দিরটি খ্রিস্টীয় দশম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যে নির্মিত হয়েছিলো।

১২. পাই 

Dhaka Post

উত্তর থাইল্যান্ডের শান্ত ও কোলাহলমুক্ত নিরিবিলি পাই শহরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার অপরিসীম সুযোগ রয়েছে। শহরটি আগ্রহী পর্যটকদের জন্য খুব উপযুক্ত স্থান। এতে রয়েছে ছোট ছোট পাহাড়ি এলাকা।

১৩. চিয়াং র‌্যাই 

Dhaka Post

থাইল্যান্ডের উত্তরে অবস্থিত চিয়াং র‌্যাই জনপ্রিয় ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল’ এর অংশ। এটি থাইল্যান্ড সীমান্ত অঞ্চল, লাওস ও মিয়ানমারে অবস্থিত। এখানে বহু পর্যটক বেড়াতে আসেন। এটি ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় অঞ্চল।

টুরোপিয়া অবলম্বনে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com