সবুজে শ্যামল ছায়া ঢাকা প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে উঠেছে বিনোদন পার্ক ‘হেরিটেজ রিসোর্ট লিমিটেড’। রাজধানী ঢাকা থেকে অল্প দূরে নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলার নওপাড়ায় আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা নিয়ে ভ্রমণ বিলাসী ও বিনোদন পিয়াসী মানুষের কাছে আস্থা অর্জন করেছে এই রিসোর্টটি।
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৩০০ ফুট রাস্তা ধরে কাঞ্চন ব্রিজ অতিক্রম করে ভুলতা গাউছিয়া হয়ে এই রিসোর্টটিতে পৌঁছা যাবে। এছাড়া সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে হয়েও এ রিসোর্টটিতে পৌঁছা যাবে।
এখানে অবকাশ যাপনের আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। ৫০ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। পানির ওপরে ভাসমান কটেজগুলো এ রিসোর্টটির সৌন্দর্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিয়ে, জন্মদিন কিংবা অফিসিয়াল কাজের জন্য একাধিক সুপরিসর কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে এখানে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছে ডিজিটাল স্টেজ।
খেলার মাঠের পাশাপাশি আছে শিশুদের জন্য আলাদা প্লে-গ্রাউন্ড। সুপরিসর সুইমিং পুলে একসঙ্গে অনেক মানুষের গোসলের ব্যবস্থা আছে। স্পিড বোটে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো ঢেউ তৈরি করা ওয়েববিচ আছে রিসোর্টে।
অত্যাধুনিক জিমনেশিয়ামের পাশাপাশি এ রিসোর্টটিতে রয়েছে কম্পিউটারাইজড গেমস খেলার সুবিধা। আধুনিক সুবিধা নিয়ে বিনোদনের চাহিদা পূরণ করার জন্য রয়েছে সিনেপ্লেক্স।
এছাড়া ক্লাব কারে চড়ার সুযোগ পাবেন রিসোর্টে আসা অতিথিরা। রয়েছে বারবিকিউ জোন।
অত্যাধুনিক জিমনেশিয়ামে আগত অতিথিরা ফিটনেস প্রাকটিস করতে পারবেন। এছাড়া রয়েছে নিরাপদ হ্যালিপ্যাড। যেখানে অতিথিরা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে রিসোর্টে আসতে পারবেন। আর অতিথিদের বিনোদনের চাহিদা পূরনের জন্য রয়েছে বিশ্বমানের প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি করা সিনেপ্লেক্স।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় বিষয় করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে রিসোর্টটিতে।
রিসোর্টের কর্ণধার মিনহাজুল রহমান রাজু ভুঁইয়া বলেন, ‘আসলে মানুষ প্রতিনিয়ত বিনোদন কিংবা অবকাশ যাপনের জন্য ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। দেশে ক্রমেই বেড়ে চলেছে ভ্রমণপ্রিয় মানুষের সংখ্যা। আমরা সেই মানুষের বিনোদনের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ রিসোর্টটি প্রতিষ্ঠা করেছি।
তিনি বলেন, রাজধানীর কোলাহল থেকে বেরিয়ে শান্ত নিবিড় পরিবেশে অতিথিরা আমাদের এ রিসোর্টে এলে নির্মল প্রশান্তি পাবেন। শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশের মানুষের সেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।