ঘুরে আসলাম অসাধারন এক জায়গা থেকে। যদি বলি বন্ধু নিয়ে অথবা, পরিবার নিয়ে ১ দিনের জন্য কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়। চোখ বন্ধ করে চলে যান মৈনট ঘাটে। আর যদি একটু কৌশলি হোন তাহলে ট্রিপটা হবে দারুন উপভোগ্য।
কিভাবে যাবেন? এবং ট্যুর প্ল্যানঃ
গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজার থেকে যমুনা বাস / এন মল্লিক বাসে সকাল থেকেই গাড়ি যায় মৈনট এ। তবে, সরাসরি মৈনট না গিয়ে যাবেন কলাকোপা (মৈনটের আগে)। এখানে কিছু দর্শণীয় স্থান ঘুরে তারপর দুপুরে ১-২ টার দিকে যাবেন মৈনট।
যারা ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর বাসি তাঁরা যাবেন অবশ্যই মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড এসে। তারপর, ১০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে আটি বাজার সিএনজি স্ট্যান্ড (তিন রাস্তার মোড়) এখান থেকে সিএনজি নিবেন রামেরকান্দা।
রামেরকান্দা নেমে ইনসার আলীর বিখ্যাত খুদের খিচুড়ি সাথে ১০ রকমের ভর্তা দিয়ে সকালে নাস্তা সেরে নিবেন। তারপর, রিকশা দিয়ে চলে যান বাজারে এবং আর একটি সিএনজি নিয়ে চলে যান কলাকোপা।
কলাকোপা যেয়ে জজবাড়ি (মালিক থাকলে ঢুকা নিষেধ এছাড়া দারোয়ানকে ২০/৫০ টাকা দিয়ে ঢুকতে পারবেন), উকিল বাড়ি, আনসার ক্যাম্প, আদনান প্যালেস (শিশু পার্ক), আন্ধারকোটা ইত্যাদি এক দেড় ঘন্টা ঘুরে দেখতে পারেন।
তারপর একটা অটো ভাড়া করুন মৈনট যাওয়ার জন্য। মৈনটের ১-২ কিলো আগে কার্তিকপুর। সেখানে নেমে বিখ্যাত স্পঞ্জ মিষ্টি খেয়ে নিবেন অবশ্যই। মুখে দিলেই এই মিষ্টি গলে যায়, এতো সুস্বাদু।
মিষ্টি খেয়ে একই অটোতে মৈনট যান। সেখানে গিয়ে দুপুরের খাওয়া শেষে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করেন একটা চড়ে যাওয়ার জন্য। অবশ্যই গোসলের হাফ প্যান্ট নিয়ে যাবেন বাসা থেকে। ঘন্টায় ৫০০ টাকার মতো নিবে, লোক কম হলে একটু অপেক্ষা করলেই অনেক গ্রুপ পাবেন কারো সাথে কথা বলে শেয়ারেও নৌকা নিতে পারেন এক্ষেত্রে খরচ অনেক কমে যাবে। ২-৩ ঘণ্টার জন্য মানে প্রায় বিকেল পাচটা – সাড়ে পাচটা পর্যন্ত নৌকা নিবেন।
ইচ্ছে মতো গোসল করে, ফুটবল নিতে গেলে ফুটবল খেলে আসতে পারবেন। আর যদি বৃষ্টি হয় যা দেখবেন তা আর কোনদিন ভুলবেন না, এতো অসাধারন একটা পরিবেশ হবে। চরে যদি না যান তবে আপনার মৈনট যাওয়া ৮০ ভাগ ই বৃথা।
চর থেকে ফিরে সোজা বাসে তারপর গুলিস্তান নামিয়ে দিবে। যদি মোহাম্মদপুর / মিরপুর / ধানমন্ডি যেতে চান গুলিস্তান না গিয়ে হেলপার কে বলবেন কোনাখোলা নামিয়ে দিতে তারপর মাথাপিছু ৩০ টাকা নিবে আপনাকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড নামিয়ে দিবে।
কোথায় খাবেন?
মৈনটে পদ্মা হোটেলে দুপুরে খাবার খেতে পারেন এরা ৪-৫ রকমের সব্জি, ৪-৫ রকমের ভর্তা, ইলিশ ভাজা, ডাল, ভাত প্যাকেজ ১৫০টাকায় বিক্রি করে। আমি পুরোটাই ঘুরে দেখেছি এদের আইটেম এবং প্যাকেজ সবচেয়ে ভালো।
মিষ্টি খাবেন রনজিৎ মিষ্টান ভান্ডারের। দুপুর ২ টার দিকে গরম মিষ্টি নামানু হয়। তখন গেলে মিষ্টি খেতে পারবেন এবং কিনেও ঢাকা আনতে পারবেন। আর যদি ১ টায় যান নাও পেতে পারেন পেলেও অল্প পাবেন যা খেতে পারবেন কিন্তু আনতে হয়তো পারবেন না।
খরচাপাতিঃ
সকালে নাস্তা ৪০ টাকা।
দুপুরের খাবার ১৫০ টাকা।
মোহাম্মদপুর থেকে যেতে ১৫০ টাকা।
আসতে ১২০ টাকা।
মিষ্টি পিছ ১৫ টাকা ( যা খান)
প্রবেশটিকেট ৬০ টাকা ( ২ জায়গায়)
নৌকা ভাড়া অনুযায়ি মাথাপিছু ১০০-১৫০ টাকা
কলাকোপা টু মৈনট ৫০ টাকা