শীত মানেই মন চায় কোথাও একটা ঘুরতে যেতে তাই কয়েক দিন ছুটি নিয়ে অনেকেই বেরিয়ে পড়েন কোন অজানার উদ্দেশ্যে মানুষ ভ্রমণ পিপাসু জীব অজানাকে জানবার অচেনা কে চিনবার অবদা কে ডাকবার ইচ্ছে তার সবসময় অনেক বেশি আর এই শীত পড়লে সেই ইচ্ছে আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়।
ঘোরার বিষয়ে বাঙালিও কিন্তু পিছিয়ে নেই। তারা যতই শীতকাতুরে যাতে বলে পরিচিত হোক না কেন ছুটি নিয়ে তারাও লেপ কম্বল সরিয়ে রেখে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন এই শীতে। এই শীতে কোথায় বেড়াতে যাবেন সেটা ভাবছেন? তবে আপনাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদন-
কোথায় যাবেন?
এই শীতে ঘুরতে চলে যায় জলপাইগুড়ির গজলডোবায়। পাখির কলতান, সবুজ বন, ঠান্ডা শীতল জলের মাঝে বুক ভরে শ্বাস নিতে চাইলে এটি আদর্শ জায়গা। জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারের ওদলাবাড়ির খুব কাছের ছোট্ট গ্রাম গজলডোবা।
জায়গাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতই বেশি যে সরকারি উদ্যোগে প্রায় ২০০ একর জমির উপর এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যটন দপ্তরের ওয়েবসাইট থেকেই সেখানে থাকার ঘর বুক করা যায়। তিস্তার উপরে বাদ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নীল জলাধার। শীতের এই জায়গায় বেড়াতে গেলে তাড়াতাড়ি একটি পাওনা রয়েছে। তা হলো পরিযায়ী পাখি। প্রতিবছর এখানকার রথ গুলিতে তারা ভিড় করে। গজল দেবার এক পাশে রয়েছে অপালচাঁদ অরণ্য এবং অন্য পাশে বৈকন্ঠপুর অরণ্য।
নৌকা ভ্রমণের ইচ্ছে থাকলে সেই ব্যবস্থাও আছে। ওখানকার মৎস্যজীবীদের নৌকায় চেপে চারিদিকটা ঘুরে দেখে নিন। আকাশ পরিস্কার থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘাও দেখতে পাবেন। রেড নেপড আইবিস, রিভার ল্যাপউইং, লিটল রিংড প্লোভার, নর্দার্ন ল্যাপউইং-এর মতো পাখি দেখতে চাইলে চটপট ঘুরে আসুন গজলডোবা।
কিছুটা সময় হাতে থাকলে ঘুরে আসুন গরুমারা অভয়ারণ্য। গজলডোবা থেকে মাত্র ২৬ কিলোমিটার দূরে এই অরণ্য অবস্থিত।
কীভাবে যাবেন?
প্রথমে শিলিগুড়ি কিংবা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে এনজিপি থেকে গাড়ি ধরে সহজে চলে যেতে পারবেন গজলডোবা। সময় লাগবে মাত্র এক ঘন্টা।
সেরা সময়
নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এই অঞ্চলে ঘুরতে যাওয়ার সেরা সময়। তাই দেরি না করে চটপট টিকিট কেটে ঘুরে আসুন গজলডোবা।