জীবনানন্দ দাশের এই বিখ্যাত পঙক্তি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আপনি যদি একটু প্রশান্তি খুঁজে বেড়াতে চান, তবে নাটোর হতে পারে একটি আদর্শ গন্তব্য। নাটোর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ একটি জেলা। যা ‘রাজসিক নাটোর’ নামে পরিচিত।
জীবনানন্দ দাশের এই বিখ্যাত পঙক্তি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আপনি যদি একটু প্রশান্তি খুঁজে বেড়াতে চান, তবে নাটোর হতে পারে একটি আদর্শ গন্তব্য। নাটোর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ একটি জেলা। যা ‘রাজসিক নাটোর’ নামে পরিচিত।
রানী ভবানীর রাজবাড়ি
নাটোর শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত রানী ভবানীর রাজবাড়ি। যা প্রাচীন নাটোর রাজবাড়ি হিসেবেও পরিচিত। বাংলার সুবেদার মুর্শিদকুলী খানের শাসনামলে এই রাজবাড়ির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এটি প্রাসাদ, দিঘি, মন্দির, উদ্যান ও মনোরম অট্টালিকা দিয়ে একটি সুসজ্জিত নগরীতে পরিণত হয়।
উত্তরা গণভবন
নাটোর শহরের দিঘাপতিয়ায়, নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের পাশে অবস্থিত উত্তরা গণভবন। এটি ১৭৩৪ সালে দিঘাপতিয়ার দেওয়ান দয়ারাম রায় নির্মাণ করেন। ১৮৯৭ সালে এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে এটি ধ্বংস হয়ে যায়। পরে রাজা প্রমদানাথ রায় ১১ বছর ধরে এই রাজপ্রাসাদটি পুনর্নির্মাণ করেন। প্রাসাদটি পুনর্নির্মাণে তিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন নির্মাণ উপকরণ ও গাছপালা ব্যবহার করেন। চারদিকে সীমানাপ্রাচীর ও পরিখা দিয়ে সুরক্ষিত করা হয়েছিল রাজপ্রাসাদটিকে। উত্তরা গণভবনের মূল ফটকটি অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। ফটকের মাঝখানে একটি বিশাল ঘড়ি রয়েছে, যা ঘণ্টাধ্বনি দিয়ে সময় জানায়। রাজবাড়ির ভেতরে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফলের গাছের সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে।
চলনবিল
নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও বগুড়া জেলার অল্প কিছু অংশ নিয়ে চলনবিল। চলনবিল এক বিশাল জলাভূমি। এটি দেশের অন্যান্য বিলের তুলনায় খুবই বিশেষ। সব ঋতুতেই চলনবিলের পানি প্রবাহিত থাকে। বর্ষাকালে ছোট ছোট গ্রামগুলো বিলের মধ্যে দ্বীপের মতো দেখা যায়। নৌকায় ঘুরে বেড়াতে গেলে বিলের সীমানা শেষ হয় না।
মাথার ওপর উড়ন্ত পাখি, পাশাপাশি নৌকার শব্দ ও পানি থেকে ছোট মাছের লাফালাফি এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা দেয়। শুকনা মৌসুমে দুই বিলের মধ্যে ডুবোসড়কগুলো জেগে ওঠে। অনেকেই সেখানে হেঁটে বা মোটরসাইকেল চালিয়ে ঠাণ্ডা পানির স্পর্শ পান।