ঢাকার বাইরে ছুটি কাটানোর জন্য যে নামটি সর্বাধিক উচ্চারিত হয়ে থাকে সেটি হচ্ছে সিলেট। আর সিলেটের কথা উঠলেই চা-এর রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের নাম চলে আসে। চা বাগান আর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের কারণে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পর্যটকদের কাছে স্বর্গরাজ্য।
প্রকৃতি দর্শন হোক বা অবকাশ যাপন প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক ঘুরতে আসেন শ্রীমঙ্গলে। আর এই পর্যটকদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দিতে এখানে গড়ে উঠেছে অনেক রিসোর্ট।
সিলেট জেলার প্রথম পাঁচ তারকা মানের রিসোর্ট ‘গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ’। এটি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত। এই রিসোর্টটি প্রায় ১৩.২ একর জায়গার ওপর অবস্থিত। গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট যাত্রা শুরু করে ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর। যাত্রা শুরুর প্রথম বছরেই ‘ওয়ার্ল্ড লাক্সারি হোটেল এওয়ার্ড-২০১৪’ জিতে নেয় রিসোর্টটি।
সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধাসহ আটতলা ভবনের রিসোর্টিতে রয়েছে ১৩৫টি কক্ষ; যার মধ্যে ৪৫টি কিং সাইজ এবং ৪৭টি কুইন সাইজ কক্ষ। এখানে রয়েছে একটি অসাধারণ নাইন হোল গলফ কোর্স। ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে লন টেনিস, ব্যাডমিন্টন, বিলিয়ার্ড ও টেবিল টেনিস খেলার ব্যাবস্থা। রয়েছে শিশুদের জন্য আলাদা খেলার জোন।
গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টটিতে অ্যামিবা আকৃতির বিশাল সুইমিংপুলসহ সুনিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রার মোট ৩টি সুইমিংপুল রয়েছে। রয়েছে মুভি থিয়েটার; যেখানে একসাথে ৪৪ জন সিনেমা উপভোগ করতে পারবে। এছাড়া এটিই বাংলাদেশের প্রথম রিসোর্ট যেটিতে পাঠাগার সংযোজিত হয়েছে।
রিসোর্টে ‘রোশনি মহল’ এবং ‘নওমি মঞ্জিল’ নামের দু’টি ব্যাংকোয়েট হল রয়েছে। আরো রয়েছে ফোয়ারা ডাইন, শাহী ডাইন ও ‘অরণ্য বিলাস’ নামের পাঁচ তারকা মানের তিনটি রেস্টুরেন্ট। আরো আছে পুল ডেক ও ক্যাফে মঙ্গল নামে দুটি আসাধারণ ক্যাফে। কর্পোরেট অতিথিদের জন্য নানান ধরণের সুবিধা রয়েছে এখানে। রিসোর্টে তিনটি বিশালাকৃতির মিটিং রুম ছাড়াও রয়েছে অত্যাধুনিক জিমনেসিয়ামসহ স্পা, সনা, স্টিম, জ্যাকুজি ও ম্যাসেজ পার্লারের সুব্যবস্থা।
এসব কিছু ছাড়াও সার্ক সামিট বা আন্তর্জাতিক যেকোনো সম্মেলনের জন্য সবসময় গ্র্যান্ড সুলতান প্রস্তুত রাখা হয়। অতিথিদের মুগ্ধতা এবং আন্তর্জাতিক মানের সেবা দেয়াই ‘গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ’ এর মূল লক্ষ্য।