গোল্ডেন ভিসার নিয়ম পরিবর্তনের পর গ্রিসে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আগের চেয়েও আগ্রহ বেড়েছে ভারতীয়দের। গত জুলাই ও আগস্টের হিসাবে দেশটিতে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের সম্পত্তি কেনার হার ৩৭ শতাংশ বেড়েছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, গ্রিসের ভিসা নিয়ে নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে গত পহেলা সেপ্টেম্বর। স্থায়ীভাবে বসবাসের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে দ্বিগুণেরও বেশি।
পোপার্টি ডেভলপমেন্ট ফার্ম লেপ্টোস এস্টেটসের তথ্যানুযায়ী, গোল্ডেন ভিসার নতুন নিয়মের আগে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা আড়াই লাখের মতো ইউরো বিনিয়োগ করে ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারতেন। এখন এথেন্স, থেসালোনিকি, মাইকোনোস এবং সান্তোরিনির মতো জায়গায় স্থায়ী হতে বিনিয়োগ করতে হবে অন্তত ৮ লাখ ইউরো।
এ ছাড়া অপেক্ষাকৃত কম উন্নত অঞ্চলে বাস করতে হলে আগ্রহীদের বিনিয়োগ করতে হবে ৪ লাখ ইউরো। আগে আড়াই লাখের মতো ইউরো বিনিয়োগ করলেই এসব অঞ্চলে বাস করার সুযোগ মিলত।
প্রতিবেদন বলছে, এই পদক্ষেপটি বৃহত্তর আবাসন নীতির অংশ; যার লক্ষ্য গ্রিক নাগরিকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের এবং মানসম্পন্ন আবাসন নিশ্চিত করা।
গ্রিসের অর্থমন্ত্রী কোস্টিস হাতজিডাকিস গত এপ্রিল মাসে বলেছিলেন, সরকার আশা করে, এটি স্থানীয় আবাসনের চাহিদা মোকাবিলায় কম জনাকীর্ণ এলাকায় বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।
ভিসানীতিতে এই পরিবর্তনের ফলে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বেশ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
গ্লোবাল মার্কেটিং ডিরেক্টর সঞ্জয় সচদেব বলেছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আমরা ভারতীয় ক্রেতাদের মধ্যে বাড়ি কেনার আগ্রহ দেখেছি। অনেক বিনিয়োগকারী ছয় থেকে ১২ মাসের হস্তান্তর সময়সীমার সাথে নির্মাণাধীন প্রকল্পগুলো কিনেছেন।
২০১৩ সালে গ্রিসে গোল্ডেন ভিসা প্রোগ্রাম চালু হয়। এর মাধ্যমে রিয়েল এস্টেট, সরকারি বন্ড বা অন্যান্য অনুমোদিত যানবাহনে বিনিয়োগের বিনিময়ে বসবাস বা নাগরিকত্ব দেওয়া হয় অন্য কোনো দেশের নাগরিকদের।
এই প্রোগ্রামটি এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভারতীয় ধনীদের কাছে। অনেকেই এর মাধ্যমে ইউরোপে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ খুঁজছেন।