মো. জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশের এক ছোট্ট গ্রামের ছেলে। তার বাবার ছিল সামান্য জমি, যা দিয়ে কোনোমতে পরিবারের খাবার জোগাড় হতো। তবে জামাল জানত, এই জীবনটা তার জন্য নয়। তার মনে সব সময় একটা স্বপ্ন ছিল—নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার, পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর।
স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে জামাল গ্রামে ছোটখাটো কাজ করত। একদিন এক আত্মীয় তাকে পরামর্শ দিল, “ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা কর। সেখানে কাজের সুযোগ ভালো।” কিন্তু ইউরোপ যাওয়া সহজ ছিল না। প্রচুর টাকা দরকার, পাসপোর্ট, ভিসা—সবকিছুই ছিল অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
তবুও জামাল হাল ছাড়েনি। দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে কিছু টাকা জমাল। তার বন্ধু ও পরিবারের সাহায্যে একটি কর্মসংস্থানের ভিসা সংগ্রহ করতে সক্ষম হলো। একদিন স্বপ্ন পূরণের আশায় বিমানে চড়ে ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওনা হলো।
শুরুতে জামাল একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করত। কাজ কঠিন ছিল, কিন্তু সে কখনো হতাশ হয়নি। দিনে কাজ করত, রাতে ব্যবসা সম্পর্কে পড়াশোনা করত। কয়েক বছরের মধ্যেই সে বুঝতে পারল, নিজে কিছু করার সময় এসেছে।
জমানো টাকা দিয়ে সে একটি ছোট ফাস্ট ফুড দোকান শুরু করল। প্রথমে ব্যবসা ধীরগতিতে চলছিল, কিন্তু জামাল তার গ্রাহকদের জন্য সেরা পরিষেবা দিতে শুরু করল। নতুন আইডিয়া, গ্রাহকদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার আর তার কঠোর পরিশ্রম দ্রুত তার ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে গেল।
আজ জামাল একটি সফল রেস্টুরেন্ট চেইনের মালিক, যার শাখা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। তিনি শুধু নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেননি, বরং নিজের গ্রাম থেকে আসা আরও অনেক তরুণকে কাজের সুযোগ দিয়েছেন।
জামাল বলেন, *আমি শূন্য থেকে শুরু করেছিলাম। কঠোর পরিশ্রম আর সাহসই আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। যদি তুমি স্বপ্ন দেখো এবং কাজ করতে প্রস্তুত থাকো, তাহলে সফলতা তোমার পেছনে আসবেই।”
বন্ধুরা, এই গল্পটা শুধু জামালের নয়, এটা যেকোনো মানুষের হতে পারে। জীবনে যতই চ্যালেঞ্জ আসুক, নিজের স্বপ্নে বিশ্বাস রাখুন। একদিন আপনিও সফলতার চূড়ায় পৌঁছাবেন।
আপনার স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রথম পদক্ষেপ আজই নিন। ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্ন যদি থাকে, তবে সেটাকে সফল করার জন্য সাহস আর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই।**
Like this:
Like Loading...