৬৪ বছরের এই শিল্পপতির জীবনের শুরুটা ছিল সংগ্রামের। কিশোর বয়সে হাইস্কুল ছেড়ে দেন। পেট চালাতে একাধিক ছোটখাটো কাজ করতে থাকেন। জীবিকার তাগিদে হাইস্কুলের পড়াশোনা ছেড়ে গাড়ি মেরামতের কাজ শুরু করেন গ্রেম হার্ট। এর পর ট্রাকও চালিয়েছেন তিনি। সময়ের ব্যবধানে সেই কিশোর আজ নিউজিল্যান্ডের ধনীদের একজন।
গত দুই বছর আগে তার সংস্থার শেয়ারদর বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে খবরের শিরোনামও হয়েছিলেন গ্রেম হার্ট। জীবনযুদ্ধে হার না মানা এই ৬৪ বছরের শিল্পপতি কখনই জনসমক্ষে আসতে পছন্দ করেন না। তবে গ্রেম হার্টের ধনসম্পদের ‘গল্প’ প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু গ্রেম হার্টের ধনসম্পদ, বিলাসবহুল ইয়ট, সাবমেরিনের ‘গল্প’ প্রায়ই শোনা যায়।
ইউলিসেস নামে ১১৬ মিটার লম্বা এক বিশাল ইয়ট আছে তার। এর সামনের ডেকে হেলিকপ্টার ওঠানামা করতে পারে। এমনকি তার ভেতর একটি ছোট ইয়টও ঢুকে যেতে পারে। ইউলিসেসের দাম প্রায় ১৪২৫ কোটি টাকা। মার্কিন নৌসেনার একটি বাতিল সাবমেরিনও রয়েছে গ্রেমের কাছে। তার জীবনের শুরুটা ছিল অনেক কষ্টের।
কিশোর বয়সে হাইস্কুল ছেড়ে দেন। পেটের দায়ে ছোটখাটো কাজ করতে থাকেন। পরে অবশ্য ফের পড়াশোনায় ফিরে আসেন এবং নিউজিল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব ওটাগো থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। পড়াশোনা শেষ করার পর গত তিন দশক ধরে গ্রেম নানা ব্যবসা শুরু করেন। তার ‘র্যাঙ্ক গ্রুপ’ কোম্পানির হাতে রয়েছে ‘রেনল্ড কনজিউমার প্রডাক্টস ইনকরপোরেশন’-এর সিংহভাগ শেয়ার। এই রেনল্ড কনজিউমার প্রডাক্টস ইনকরপোরেশন বড় বড় আবর্জনার ব্যাগ, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল তৈরি করে। গত সপ্তাহে রেনল্ড কনজিউমার প্রডাক্টস
ইনরকপোরেশনের শেয়ার প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ফলে ধনীদের তালিকায় কয়েক ধাপ উঠে আসেন গ্রেম। ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইন্ডেক্স অনুযায়ী, গ্রেমের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় আজ প্রায় ৩১ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। তিনিই এখন নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি।
বিষয়টি নিয়ে র্যাঙ্ক গ্রুপের তরফে অবশ্য কিছু জানানো হয়নি। ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব ওটাগোর প্রাক্তনীদের সম্মেলনে গ্রেম তার জীবনযুদ্ধের কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘সাহসী হতে হবে।
অর্থাৎ যতটা সম্ভব কিনতে হবে, যতটা সম্ভব ধার করতে হবে, তার পর সেই সম্পদকে কাজে লাগাতে যতটা সম্ভব কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’