নিউইয়র্কজুড়ে বর্তমানে গড় আয়ু ৮৩ দশমিক দুই বছর, যা সিটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সময়ে গড় আয়ু ছিল ৮২ দশমিক ছয় বছর। গড় আয়ুর দিক থেকে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছেন নিউ ইয়র্ক সিটির বাসিন্দারা।
অ্যামেরিকার সবচেয়ে জনবহুল নগরের বাসিন্দাদের আয়ু এখন ৮৩ বছরের বেশি।
আইউইটনেস নিউজ শুক্রবার জানায়, দুই বছর আগে নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন ‘হেলদি নিউ ইয়র্ক সিটি প্ল্যান’ নামের পরিকল্পনা উন্মোচন করে।
এ পরিকল্পনার লক্ষ্য ছিল গড় আয়ুর ইতিবাচক পরিবর্তন ও ২০৩০ সালের মধ্যে নগরের বাসিন্দাদের গড় আয়ু ৮৩ বছরে উন্নীত করার চেষ্টা।
অ্যাডামস প্রশাসনের এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে লেগেছে মাত্র দুই বছর।
নিউ ইয়র্কজুড়ে বর্তমানে গড় আয়ু ৮৩ দশমিক দুই বছর, যা সিটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সময়ে গড় আয়ু ছিল ৮২ দশমিক ছয় বছর।
এমন বাস্তবতায় নগর কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, সার্বিকভাবে গড় আয়ু বাড়ার পেছনের বড় কারণ সব বর্ণ ও জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট মৃত্যুর ব্যাপক হ্রাস। যদিও অন্য অনেক কারণে মৃত্যুর পেছনে বর্ণগত অসাম্যকে কারণ হিসেবে দেখা হয়।
মেয়র এরিক অ্যাডামস স্বীকার করে নিয়েছেন যে, বর্ণগত অসাম্যসহ কিছু বিষয়ে উন্নতির এখনও বাকি, তবে খাদ্যাভ্যাস, ক্যানসার শনাক্তের পরীক্ষা, মাতৃমৃত্যুর হার ও সহিংসতার মতো বিষয়ে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সবসময় কারও ডিএনএকে দায়ী করা যায় না। ডিনারে একজন কী খাচ্ছেন, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।
মেয়র বলেন, কেউ কেউ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে এসে উদ্ভিদভিত্তিক খাবার গ্রহণ করে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটিয়েছে। সঠিক উপকরণ পেলে নিউ ইয়র্কবাসী তাদের স্বাস্থ্যর পাশাপাশি আয়ু ও জীবনমানের উন্নতি ঘটাতে পারে।