পৃথিবীর বুকে দাঁড়িয়েও কি চাঁদের মাটিতে পা রাখা যায়? আর যদি এর উত্তর খুঁজতে চান তবে পাড়ি দিতে হবে আমাদের দেশেরই মরুরাজ্য হিসাবে পরিচিত রাজস্থানে। আজমের এবং জয়পুর যাওয়ার পথেই পড়ে ছোট্ট একটা শহর। শহরের নাম কিষাণগড়। আর সব রহস্য লুকিয়ে সেই শহরেই।মূলত, ‘গোলাপি শহর’ বলে চিহ্নিত জয়পুর থেকে এই স্থানের দূরত্ব ১০০কিলোমিটার। আর এখানেই রয়েছে ‘চাঁদের মাটি’। পরিবেশবিদদের মতানুসারে রাজস্থানের এই ছোট্ট শহর চাঁদের শহর নামে পরিচিত। আসুন এই শহরটিকে কেন চাঁদের শহর বলে বলা হয়ে থাকে তা জেনে নিই আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে
আদতে ওই জায়গা প্রথমে পরিচিত ছিল ভাগাড় বা ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ড হিসাবে। তবে সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হল এখানে দৈনন্দিন বর্জ্য ফেলা হয় না। তাই এখানে না আছে পচা গন্ধ বা মৃতপ্রাণীর দেহাবশেষ। কিন্তু যে বর্জ্য ফেলা হয় তার ফলেই গোটা এলাকা ‘চাঁদের দেশ’-এ রুপান্তরিত হয়েছে।আদতে রাজস্থান ভারতবর্ষের বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছে মার্বেলের জন্য বিখ্যাত, এই রাজ্য থেকে দেশের নির্মাণকাজের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় মার্বেল যায়। কিষাণগড় এমন একটি শহর যেখানে ঘরে ঘরে মার্বেলের ব্যবসা করে থাকেন। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষের প্রধান জীবিকা আমার আপনার ঘরে যে মার্বেল পাথর বসানো হয়ে থাকে তা তৈরি করা।
আর ঠিক সে কারণেই লোকমুখে এই স্থানের পরিচিত বাড়ছে। কিষাণগড়ের ভাগাড়ই হয়ে উঠেছে রাজস্থানের ‘মুন ল্যান্ড।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় কিষাণগড়ের ছবি ছড়িয়ে পড়ার পরেই এ নিয়ে উৎসাহ বৃদ্ধি পিয়েছে। সাদা প্রান্তরে অনেকে ফটোশুটের জন্যেও আসছেন। তার জন্যে টাকাও দিতে হচ্ছে এখানে। সকাল ১০ টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঘুরে দেখার জন্য খোলা থাকে এই স্থান।তবে একটা বিষয় এখানে উল্লেখ করা যায় এই এলাকায় ঘোরাঘুরি কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়, কারণ, মার্বেলের ধুলো বা জল কি আদৌ শরীরের পক্ষে ভাল? এ সব নিয়ে মাথা ঘামাতে আগ্রহী নন অবশ্য উৎসাহী লোকজন। তাঁরা ‘চাঁদের মাটি’-তে ঘোরাঘুরিতে ব্যস্ত।
Like this:
Like Loading...