সে এক সময় ছিলো যখন দম্ভ ভরে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, পালাবো না, পালাবো কোথায়? কিন্তু বেলাশেষে সকলের আগে ঠিকই তিনি পালিয়েছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালানোর পর থেকেই লাপাত্তা আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক। যদিও সূত্র বলছে তিনি বর্তমানে রয়েছেন ভারতের কলকাতায়। তবে কলকাতা থেকে এরপরের গন্তব্য কোথায় ওবায়দুল কাদেরের?
সময়তো এখন বদলেছে কাউয়া কাদেরখ্যাত ওবায়দুল কাদেরের দম্ভ আর নেই, নেই কোন ক্ষমতা আর ক্ষমতার দাপটও। কাদেরের এরপরের গন্তব্যটা যে হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জেল। কারণ, সম্প্রতি ইন্টারপোলের কাছে আওয়ামী লীগের ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো এনসিবি।
এই তালিকায় কাউয়া কাদের আর ফ্যাসিস্ট হাসিনা ছাড়াও রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাবেক সব এমপি-মন্ত্রীরা। ইন্টারপোলের কাছে ইতিমধ্যে তিনটি ধাপে এই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে এনসিবি। ইন্টারপোল তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে যাচাই বাছাইয়ের পর রেড এলার্ট জারি করবে। আর এই রেড এলার্ট একবার জারি হলে ওবায়দুল কাদেরের আর কোন গতি থাকবে না। কারণ, ইন্টারপোলের আওতাধীন ১৯৫ টি দেশের যেখানেই লুকিয়ে থাকুক, সেই দেশ তাকে খুঁজে বের করে বাংলাদেশে পাঠাতে তখন বাধ্য হবে।
বর্তমানে বেশ আরাম আয়েশেই কলকাতার অভিজাত এলাকা রাজারহাট নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছেন কাউয়া কাদের। জানা গেছে, তিনি ডিএলএফ নিউটাউন হাইটস প্লাজায় আছেন বর্তমানে। এটি মূলত হাইরাইজ কমপ্লেক্স, যেখানে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান। সম্প্রতি ডিজিটাল গণমাধ্যমের সম্পাদক গাজী নাসির উদ্দীন আহমেদ এর একটি ফেসবুকে পোষ্টে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে ওবায়দুল কাদেরের পালানোর ঘটনা নিয়ে জল ঘোলা কম হয়নি। কেউ বলেছেন হাসিনা পালানোর পরই যশোর সীমান্ত দিয়ে পালিয়েছেন তিনি। আবার সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন দাবি করেছিলেন কাউয়া কাদেরখ্যত ওবায়দুল কাদের দেশেই আছেন। এদিকে সম্প্রতি আবার তার নামে রেজিস্টার করা সিমের লোকেশনে লালমনিহাটের অবস্থানও দেখা গিয়েছিলো। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র অনুযায়ী তার বর্তমান অবস্থান কলকাতায়। কউয়া কাদেরের এর পরের গন্তব্য কি তবে বাংলাদেশের জেল? ইন্টারপোলে আবেদনের পর এমন প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।