ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরির ক্যাম্পাসে থাকার জন্য এ বছর যে লটারি তাতে ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না লউস সাঞ্চেস দিয়াসের। তারপরও তিনি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির সময় মেক্সিকোর কুয়েরনাভাকা থেকে অনলাইনে পাঠ নিয়েছিলেন। ২০২১ সালে হেমন্তে তিনি ক্যালগেরিতে চলে আসেন এবং এপ্রিলে জায়গা হারানোর আগ পর্যন্ত ক্যাম্পাস রেসিডেন্সেই থাকার সুযোগ হয়েছিল তার।
২৪ বছর ব্য়সী সঞ্চেস দিয়াস বলেন, এটা ছিল লটারি। সুতরাং, আপনি কত আগে আবেদন করলেন সেটা এক্ষেত্রে কোনো বিষয় নয়। অথবা আপনি কতটা ভালো ভাড়াটিয়া ছিলেন সেটাও এক্ষেত্রে বিবেচ্য নয়। তাই যারা লটারিতে জয়ী হয়েছেন তারা বিশ^বিদ্যালয়ের আবাসনে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন এবং যারা লটারিতে জিততে পারেননি তাদের অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকতে হচ্ছে।
সাঞ্চেসকে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকার জায়গা খুঁজতে হয়েছিল, যেটাকে তার কাছে খুব চাপের মনে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি বিশ^বিদ্যালয় থেকে মাত্র পাঁচ মিনিট দূরে একটি শেয়ার্ড অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজে পেতে সক্ষম হন তিনি।
তবে সবার ভাগ্য তার মতো ভালো নয়। কারণ, এই হেমন্তে ক্লাস শুরু হওয়ার আগে পোস্ট-সেকেন্ডারি শিক্ষার্থীদের সারাদেশেই থাকার জায়গা খুঁজে পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরির স্টুডেন্টস’ ইউনিয়ন বলেছে, অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই তারা আবাসন খুঁজে পেতে সমস্যার কথা শুনতে পেরেছে। বাধ্য হয়ে অনেককেই নগরীর এক কোনায় বিশ^বিদ্যালয় থেকে অনেক দূরে থাকতে হচ্ছে। সেখান থেকে যাতায়াতের সেভাবে সুব্যবস্থা নেই।
ইউনিয়নের এক্সটার্নাল বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাটেউজ সালমাসি বলেন, তাদেরকে দেড় ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা যাত্রা করে ক্যাম্পাসে আসতে হচ্ছে। এত লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে শ্রেণিকক্ষে আসাটা সত্যিই খুব কঠিন।