নীল জলরাশির ছোট ছোট ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। অগভীর সমুদ্রের পাড় ঘেঁষে ছোট-বড় পাহাড়ের সারি। যেন কোনো আঁকিয়ের ক্যানভাস। ছবির মতো এই দৃশ্য দেখতে ও দেখাতে রীতিমতো গড়ে উঠেছে এক বড় শহর। ভুরি ভুরি রিসোর্ট আর অবকাশ যাপন কেন্দ্রের কারণে শহরটির পরিচিতি “রিসোর্ট শহর”।
মেক্সিকোর ক্যাবো স্যান লুকাস শহরটি মূলত পরিচিত “প্রমোদ শহর” নামেই।
এখানে দিগজোড়া সমুদ্রে যেমন গা ভেজানো যায়, তেমনি ছোট-বড় নৌকায় চেপে ঘুরে আসা যায় সবুজ জলরাশিও। এখানে সমুদ্র বেশ শান্ত।
সাগরে গর্জনের সুর যেন একে অন্যকে কাছে ডাকার। পাশে রাখার। অসীম শূন্যতায় প্রিয়জনকে নিয়ে ভেসে যাওয়ার।
চাইলে কিছুটা সময় প্রশান্ত মহাসাগরে ভাসতে ভাসতে জিরিয়ে নেওয়া যাবে দুই পাহাড়ের মাঝের ছায়াতেও। সমুদ্রের পাড় ধরে গড়ে উঠেছে বহু অবকাশযাপন কেন্দ্রও। ঘরে বসেই নেওয়া যাবে লু বাতাসের হাওয়া।
বলা হয়ে থাকে এই শহরটিতে কখনই পার্টি বা নাচ-গান বন্ধ হয় না। দিনভর কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো অনুষ্ঠান চলতেই থাকে।
এছাড়া সমুদ্র তীরের শহর বলেই কি-না প্রতি বছর এখানে বসে বড় মাছ ধরার উৎসব। সেখানে বড় বড় সামুদ্রিক মাছ ধরেন পর্যটক ও স্থানীয় জেলেরা। স্থানীয় মানুষের জীবনযাপন ও অর্থনীতিও মূলত গড়ে উঠেছে এই সমুদ্রতীরকে ঘিরেই।
বছর জুড়ে উৎসবে মাতোয়ারা এই শহরটি তাই অপেক্ষায় রয়েছে নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে। ক্যাবো স্যান লুকাস সবসময় অপেক্ষায় থাকে আপনার। শহরটিতে গেলে স্থানীয়রা এভাবেই নতুন অতিথিকে স্বাগত জানায়। যাতে মনেই হবে, সে শুধু আপনার অপেক্ষায়ই রয়েছে।