ব্যস্ত জীবন থেকে দিন কয়েকের আরাম নিন। ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে শান্ত-স্নিগ্ধ, কোলাহলহীন মুক্ত পরিবেশে কাটিয়ে আসুন দিন কয়েক। পাইন, ওঁকের প্রাচীরে ঘেরা সুন্দর পাহাড়ি গ্রামে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত দারুণ উপভোগ্য। ছবির মতো সাজানো দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়ি উপত্যকায় বেড়ানোর ষোলোআনা মজা নিন। ইঁদুর দৌড়ের জীবন থেকে দিন কয়েকের ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে আসুন বাংলারই অপূর্ব এই প্রান্ত থেকে। হিমালয় কোলের ছোট্ট জনপদ প্রকৃতি যেন নিজের হাতে সাজিয়েছে।
ছবির মতো সাজানে পাহাড়ি গ্রাম চারখোল। ছোট্ট এই জনপদ কালিম্পং জেলার অন্তর্গত। রেলি নদীর অববাহিকায় সামালবং অঞ্চলের পাহাড়ি গ্রাম চারখোল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ফুট। গোটা গ্রাম ঘিরে রেখেছে পাইন, ওঁক, গুরাস, সাইপ্রাস গাছের সারি। দূর থেকে দেখা মিলবে বরফে ঢাকা সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘার। এই গ্রামের চারিদিক খোলা, তাই বোধ হয় এর নাম চারখোল। এই এলাকাটি ন্যাওড়াভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের একেবারে কাছে। সেই কারণে এখানকার মূল আকর্ষণ হিমালয়ান পাখি।
গোটা এলাকা সবুজে সবুজ। মায়াবী পরিবেশে আপনার বেড়ানোর প্রতিটি মুহূর্ত অনন্য এক স্মৃতি হয়ে থাকবে। গ্রাম জুড়ে রয়েছে নাম না জানা রঙবেরঙের পাহাড়ি ফুল। ইচ্ছে থাকলে গোটা গ্রামটা হেঁটেই ঘূরে নিন। স্ট্রেসফুল জীবন থেকে দিন কয়েকের আরাম নিতে গেলে চারখোল একেবারে পারফেক্ট চয়েজ। কোলাহলহীন পরিবেশে এযেন স্বর্গসুখ।
চারখোলে কী কী দেখবেন?
অনেকে এখানাকার অপূর্ব পরিবেশের স্বাদ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেন হোম স্টে-র বারান্দায় বসেই। তবে চারখোলকে কেন্দ্র করে আপনি ঘুরে নিতে পারেন আরও বেশ কয়েকটি চিত্তাকর্ষক স্পট। গাড়ি ভাড়া করে বেড়িয়ে আসতে পারেন লাভা, লোলেগাঁও, কোলাখাম, রিশপ, পেডংয়ের মতো জায়গা থেকে।
চারখোলে যাবেন কীভাবে?
নিউ জলপাইগুড়ি বা এনজেপি থেকে চারখোলের দূরত্ব মেরেকেটে ৮০ কিলোমিটারের মতো। কালিম্পং শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৩৮ কিলোমিটার। থাকার জন্য এখানে বেশ কয়েকটি সুদৃশ্য হোম স্টে পেয়ে যাবেন। কয়েকটি রিসর্টও আছে এখানে। হোম স্টে-গুলিতে থাকা-খাওয়া হিসেবে খরচ নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে জন প্রতি ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকার কাছাকাছি পড়তে পারে।