সারাদিনের ঘোরাঘুরির পর ক্লান্ত হয়ে হোটেলে ফিরে বিশ্রাম। বেড়াতে গেলে হোটেলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঠিক ওতটুকুই। কিন্তু এমনটা কখনও শুনেছেন, যে, একটি নির্দিষ্ট হোটেলই হল মূল গন্তব্য! স্রেফ ওই হোটেলে রাত কাটানোর উদ্দেশ্য নিয়েই সেখানে হাজির হন অনেকে। এই হোটেল যে বিলাসবহুল হবে, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু আরও একটা কারণে এই হোটেল পরিচিত।
তা হল, হোটেলটির খরচ। কোথাও ঘুরতে গেলে, সামগ্রিকভাবে যা খরচ হয়, এই হোটেলে একরাত কাটাতেও তার থেকে বেশি খরচ হতে পারে। কারণ এখানে একরাত কাটানোর খরচ ৬১ লাখ টাকা। কথা বলছি, লাস ভেগাসের পামাস কেসিনো সম্পর্কে। বিভিন্ন কারণে এই হোটেল গোটা বিশ্বের দরবারে পরিচিত। স্রেফ এখানে একরাত কাটাবেন বলেই দলে দলে হাজির হন অনেকে। মূলত ইউটিউবাররাই বর্তমানে ভিড় জমান লাস ভেগাসের এই বিখ্যাত হোটেলে। গোটা হোটেলে ঠিক কী কী চমক রয়েছে, তা বিস্তারিত ভাবে সকলের সামনে তুলে ধরেন তাঁরা।
হোটেলটির রাজকীয় অন্দরসজ্জা তাক লাগিয়ে দেয় নেটিজেনদের। ব্রিটেনের বিখ্যাত স্থাপত্যশিল্পীদের অসাধারণ কিছু কাজ রয়েছে এই হোটেলে। কোনও ঘরের ছাদজুড়ে আঁকা রয়েছে বিখ্যাত চিত্রকরের ছবি, কোথাও আবার অন্য কিছু। শুধু ছবি নয়, হোটেলের অন্দর জুড়ে রয়েছে একাধিক সৌখিন মূর্তি। এছাড়া, অন্যান্য হোটেলের মতো যাবতীয় সুবিধা তো রয়েছেই। অন্দরে রয়েছে কেসিনো, পাব সহ একাধিক বিনোদনের জায়গা। রয়েছে সুইমিং পুল-ও।
সবমিলিয়ে এই হোটেলে ঢুকলে যে কারও মনে হতে পারে, ঠিক যেন স্বর্গে এসে হাজির হয়েছেন। তাই এর জন্য যতই খরচ হোক, অনেকেই নির্দিধায় তা করতে রাজি রয়েছেন। তবে মধ্যবিত্তদের অনেকেরই যে সেই ক্ষমতা নেই তা বলাই বাহুল্য। তার ওপর এই হোটেলের এক অদ্ভুত নিয়ম রয়েছে। এখানে স্রেফ একটা রাত কাটানোর সুযোগ নেই।
অন্তত ২ রাতের জন্য হোটেল বুক করতে হয়। তাই ৬১ লাখ নয়, তার দ্বিগুণ টাকা খরচ হবে এই হোটেলের অন্দরসজ্জা সামনে থেকে দেখার জন্য। তাই হোটেলের তরফে প্রায়শই অন্দরসজ্জার ছবি নেটদুনিয়ায় পোস্ট করা হয়। যা দেখে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটান অনেকেই।