বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই পুরুষদের দ্বারা শাসিত। একবিংশ শতাব্দীতেও নারীরা দাসত্ব সহ্য করতে বাধ্য হচ্ছে। তবে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের চিন্তাভাবনা অবশ্যই পরিবর্তিত হয়েছে। এখন নারী-পুরুষ একসঙ্গে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা পুরুষের চেয়ে একধাপ এগিয়ে।
কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে যেখানে নারী শাসন করে এবং সরকার চালায়। নারীরা পুরুষদের দাস হিসেবে রাখে। পুরুষদের এখানে পশুর মতই বিবেচনা করা হয়। এমনকি তারা জিভ দিয়ে চেটে মহিলাদের স্যান্ডেল পরিষ্কার করে। এখানকার শাসন ব্যবস্থা নারীদের হাতে।
১৯৯৬ সালে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এই দেশটি গঠিত হয়। এর রানীও একজন মহিলা এবং তার নাম প্যাট্রিসিয়া, যিনি রাজা হিসাবে শাসন করেন। এদেশের নিজস্ব মুদ্রা, পুলিশ বাহিনী এবং পাসপোর্ট রয়েছে। এখানকার স্থানীয় নাগরিকরা কেবল নারী। পুরুষদের নাগরিকত্বও দেওয়া হয়নি।
এই দেশের নিয়মও অন্যান্য দেশের থেকে আলাদা। এখানকার রাণীর প্রতিটি নিয়ম ও আইন করার অধিকার রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের অন্য কোনো দেশ একে দেশের মর্যাদা দেয়নি। আসলে, চেক প্রজাতন্ত্রে অবস্থিত ‘আদার ওয়ার্ল্ড কিংডম’ (OWK) নিজেকে দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
এখানে পুরুষদের ব্যবহার করা হয় দাসের মতো। পুরুষেরা সব ধরনের কাজ করে এবং নারীদের সেবা করে। রানীর অনুমতি ছাড়া পুরুষরা কিছু করতে পারেনা। এখানে মহিলাদের জন্য একজন পুরুষ চাকর রাখা আবশ্যক। রানী প্যাট্রিসিয়া মহিলাদের জন্য একই রকম অনেক নিয়ম তৈরি করেছেন।
এই দেশে একটি ২৫০ মিটার ডিম্বাকৃতির ট্র্যাক, ছোট হ্রদ এবং তৃণভূমি রয়েছে। অনেক ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও স্কুল, একটি সুইমিং পুল, রেঁস্তোরা এবং নাইট ক্লাবও রয়েছে। তবে বন্দিদের রাখার জন্য বেসমেন্ট ও টর্চার চেম্বারও তৈরি হয়েছে। এদেশে মানুষ এভাবেই জীবনযাপন করে।
জুমবাংলা নিউজ