বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৮ অপরাহ্ন

কেমন খরচ হতে পারে স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবার

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫

বাংলাদেশ-ভারতে যৌথভাবে চালু হতে যাচ্ছে স্টারলিংক পরিষেবা। তবে যাবতীয় ভূ-রাজনৈতিক বা নিরাপত্তাগত হিসেবের বাইরে গিয়ে ভারত বা বাংলাদেশের সাধারণ একজন গ্রাহক হয়তো সবার আগে জানতে চাইবেন, স্টারলিংক পরিষেবা নিতে চাইলে খরচ কত হবে? সেটা কি আমাদের বাজেটের নাগালে হবে?

এক কথায় এর উত্তর দেওয়া কঠিন – কারণ এই বাজারগুলোতে স্টারলিংকের ‘প্রাইস পয়েন্ট’ ঠিক কী হবে সেটা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি, আর তা ছাড়া বিশ্বের এক একটা বাজারে তাদের পরিষেবার খরচও এক এক রকম।

বিশ্বের যে একশোটিরও বেশি দেশে স্টারলিংক এখন চালু আছে, সেখানে তাদের মান্থলি সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানগুলোর খরচ ১০ ডলার থেকে শুরু করে ৫০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। আফ্রিকায় খরচ অনেক কম, ইউরোপে তুলনায় অনেক বেশি। তবে এটি আনলিমিটেড নয়।

এর সঙ্গে এককালীন খরচ দিয়ে স্টারলিঙ্কের হার্ডওয়্যারও (ডিভাইস) গ্রাহককে কিনতে হয়, যার খরচ ২৫০ ডলার থেকে ৩৮০ ডলারের মতো পড়ে।

সেই জায়গায় তুলনা করলে দেখা যাবে ভারতের টেলিকম কোম্পানিগুলো অনেক সস্তায় ‘হোম ব্রডব্যান্ড’ প্ল্যান অফার করে থাকে, যার খরচ মাসে মাত্র ৫ ডলার (৪৫০ রুপি) বা ৭ ডলার (৬০০ রুপি) থেকে শুরু। হাইস্পিড প্রিমিয়াম প্ল্যানের খরচ অবশ্য চার বা পাঁচ হাজার রুপিও হতে পারে।

তার ওপর স্টারলিংকের ডেটা ব্যবহারে একটা ঊর্ধ্বসীমা আছে, কিন্তু ভারতে রিলায়েন্স জিও বা এয়ারটেলের বেশির ভাগ প্ল্যানই ‘আনলিমিটেড’।

ফলে ভারতের মতো একটি ‘প্রাইস-সেনসিটিভ’ বা দাম-সচেতন বাজারে সফল হতে গেলে স্টারলিঙ্ককে খুবই প্রতিযোগিতামূলক দামে প্ল্যান অফার করতে হবে। তবে এই বাজারে প্রবেশ করাটাই যদি তাদের মূল লক্ষ্য হয়, ব্যবসা বাড়ানো নয় – তাহলে অন্য কথা।

যেমন আফ্রিকার যে ১৬টি দেশে এই মুহূর্তে স্টারলিংক চালু আছে, তার মধ্যে ৫টিতেই আবার তাদের মান্থলি সাবস্ক্রিপশনের খরচ সে দেশের প্রধান ফিক্সড ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের তুলনায় কম। হিমালয়ের কোলে ভুটানে স্টারলিঙ্ক সদ্যই পরিষেবা চালু করেছে – সেখানে আবার রয়েছে তাদের দুটি প্ল্যান।

‘রেসিডেনশিয়াল লাইট’ প্ল্যানের খরচ মাসে ৩০০০ ন্যু (৩০০০ রুপি), কিন্তু তাতে অফুরন্ত ডেটা ব্যবহারের সুযোগ নেই। ‘স্ট্যান্ডার্ড’ প্ল্যান নিলে আবার মাসে ৪২০০ ন্যু (৪২০০ রুপি) দিয়েই গ্রাহক আনলিমিটেড ইউসেজ পাবেন।

সোজা কথায়, দামের ক্ষেত্রে স্টারলিংক এক এক দেশে পরিস্থিতি অনুযায়ী এক এক ধরনের মডেল ব্যবহার করে থাকে।

ভারতে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এদেশে স্টারলিংকের খরচ প্রতিষ্ঠিত টেলিকম জায়ান্টদের তুলনায় অনেকটাই বেশি হবে, স্টারলিংকের ডেটা স্পিডও কম থাকবে।

অন্যভাবে বললে, এ দেশের দুর্গম ও ‘আন্ডারসার্ভড’ (যেখানে কেবল বা টাওয়ার নেই) এলাকাগুলোতে পৌঁছানোই হবে স্টারলিংকের প্রধান লক্ষ্য – জিও বা এয়ারটেলের ব্রডব্যান্ড সার্ভিসকে তারা সেভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারবে না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com