মালদ্বীপের হোটেল, রিসোর্ট, সুপারশপ ব্যবস্থাপনায় বেশির ভাগই বাংলাদেশি। এ খাতে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসী কাজ করছেন। অন্যান্য দেশের শ্রমিকের তুলনায় পারিশ্রমিকও বেশি বলে জানান তারা।
পর্যটন মানেই মানসম্মত হোটেল, রেস্টুরেন্ট, রিসোর্টসহ থাকতে হবে নানা ব্যবস্থাপনা। আর তা যদি হয় মালদ্বীপের মতো বিশ্বসেরা পর্যটনের দেশ, তাহলে তো কথাই নেই।
মালদ্বীপের হুলহুমালে রয়েছে শতশত হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। যার বেশির ভাগের ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন বাংলাদেশিরা। কেউ হেটেল ম্যানেজার, কেউ বা সহকারী। নানা পদে কাজ করছেন তারা।
মালদ্বীপের কর্মপরিবেশ স্বস্তিদায়ক উল্লেখ করে এক প্রবাসী বলেন, এখানে যেসব বাংলাদেশিরা কাজ করছেন তারা বেশ ভালো বেতন পান। কাজও ভালো যাচ্ছে। সেই সঙ্গে নিময়কানুনও ভালো।
আগের চেয়ে শ্রমিকদের নানা সুবিধাও বেড়েছে। বাংলাদেশি টাকায় প্রতিষ্ঠানভেদে প্রতি মাসে ৪০ হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা আয় করেন তারা। এক প্রবাসী বলেন, বাংলাদেশিরা এখানে বেশ ভালো বেতন পাচ্ছেন। এখানে অনেকেই মাসে ১২ হাজার রুপি থেকে ১৪ হাজার রুপি পর্যন্ত আয় করেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯০ হাজার টাকার মতো।
শুধু হোটেল ব্যবস্থাপনাই নয়, সুপারশপেও পিছিয়ে নেই বাঙালিরা। অনেকে দোকান ভাড়া নিয়ে নিজেই করছেন ব্যবসা। তবে করোনা-পরবর্তী পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় প্রভাব পড়েছে বেচাকেনায়। সুপারশপে কাজ করেন এমন এক প্রবাসী বলেন, দোকানে কাজ করলে ৫ হাজার রুপি থেকে ৬ হাজার রুপি পর্যন্ত পাওয়া যায়; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
মালদ্বীপে হোটেলগুলোতে যৌথ মালিকানাও রয়েছে বাংলাদেশিদের। আর কর্মচারীও প্রায় সবাই প্রবাসী। এ অবস্থায় বাংলাদেশ হাইকমিশনার অফিসকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
Like this:
Like Loading...