বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন

কেন ফ্রান্স ছেড়ে চলে যাচ্ছেন উচ্চশিক্ষিত মুসলমানেরা

  • আপডেট সময় শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৪

ফ্রান্সে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ইসলামোফোবিয়া বা ইসলামভীতি ছড়িয়ে দেয়ার তৎপরতা জোরদার হওয়ার কারণে মুসলিম বিজ্ঞানীসহ উচ্চশিক্ষিতরা সেদেশ ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।

যদিও ইউরোপের মধ্যে ফ্রান্সেই সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বসবাস তবু সেখানে নানা উপায়ে মুসলমানদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে, মুসলমানদের সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়ে এক ধরণের অসহনীয় পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। এ কারণে ফ্রান্সের বিশিষ্ট মুসলিম ব্যক্তিত্বরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। পার্সটুডে জানিয়েছে একটি নতুন জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ফ্রান্স ছেড়ে যাওয়া প্রতি ১০ জন বিশিষ্ট মুসলিম ব্যক্তিত্বের মধ্যে গড়ে সাতজনেরও বেশি মানুষ তাদের দেশ ছাড়ার প্রধান কারণ হিসেবে ইসলামোফোবিয়া বৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন।

প্রফেসর অলিভিয়ার এস্টিভস’র নেতৃত্বে লিল ইউনিভার্সিটি পরিচালিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, বিপুল সংখ্যক উচ্চ শিক্ষিত মুসলমান ফ্রান্স ছেড়ে ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে যাচ্ছেন।

ফরাসি রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং মানবাধিকার কর্মী ইয়াসির লুআতি আনাতোলিয়া বার্তা সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার অভাবেই উচ্চশিক্ষিত মুসলমানেরা আর ফ্রান্সে থাকতে চাইছেন না।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফ্রান্সে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বেড়েছে। ফ্রান্সের মধ্য-ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের আমলে সেদেশের মুসলিম নাগরিক ও ইসলামী কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে বহু আইন পাস করা হয়েছে। এসব বিধিনিষেধ সেদেশের মুসলমানদের জীবনযাত্রাকে আগের চেয়েও কঠিন করে তুলেছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফরাসি সরকার সেদেশের মুসলমানদেরকে ফরাসি সংস্কৃতির সাথে মানানসই করে গড়ে তুলতে এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অজুহাত দাঁড় করিয়ে ‘ইসলামিক অ্যাসেম্বলি অব ফ্রান্স’ নামে একটি নতুন সংগঠন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। এটি আসলে ফ্রান্সে ইসলামকে দুর্বল করার জন্য ম্যাক্রন সরকারের নানা পরিকল্পনার একটি। এই নতুন সংগঠন প্রতিষ্ঠার পরপরই ‘ফ্রান্সের মুসলিম মাজহাবগুলোর পরিষদ’ নামের সংগঠনকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রনের নীতির ভিত্তি হচ্ছে ‘আক্রমণাত্মক সেক্যুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’। এই মতবাদ সমাজে ধর্ম এবং ধর্মীয় প্রতীকের উপস্থিতির বিরোধী। এ কারণে ফরাসি সরকার ইসলামের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে না। তারা স্কুলে এবং অলিম্পিক গেমসে ইসলামি পর্দা বা হিজাব নিষিদ্ধ করেছে।

সূত্র: পার্সটুডে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com