কয়েক বছর ধরে, বিশেষ করে করোনাকালের পর থেকে মার্কিনদের মধ্যে অন্য দেশে স্থায়ী হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। গোটা দুনিয়ার মানুষের কাছে যখন মার্কিন মুলুকের নাগরিকত্ব পরম আকাঙ্ক্ষিত, সেখানে খোদ মার্কিনরাই কেন দেশ ছাড়ে? আর ছাড়লে কোন দেশেই–বা থিতু হয় বেশি?
২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত মার্কিনরা যেসব দেশে থিতু হতে চায়, সেসবের মধ্যে প্রথম স্থানে আছে দক্ষিণ ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে অন্য দেশে থিতু হওয়া ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৬৩ জন মার্কিনের ওপর এক জরিপ চালানো হয়। সেই জরিপ বলছে, গত ৩ বছরে যে ১০টি দেশে মার্কিনরা সবচেয়ে বেশি স্থায়ী হয়েছে, সেসব হলো—
১. পর্তুগাল
২. স্পেন
৩. যুক্তরাজ্য
৪. কানাডা
৫. ইতালি
৬. আয়ারল্যান্ড
৭. ফ্রান্স
৮. মেক্সিকো
৯. নিউজিল্যান্ড
১০. কোস্টারিকা
মার্কিনরা কেন দেশ ছাড়ে
এই গবেষণায় ভিনদেশে থিতু হওয়ার কারণ হিসেবে মার্কিনদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত রক্ষণশীল। ৪৩ শতাংশ জানিয়েছে, মার্কিনরা নিজেদের যেকোনো বিষয়ে মতামত দেওয়ার বেলায় অনেক বেশি বিভক্ত।
এ ছাড়া অনেকে স্বাধীনভাবে বাঁচতে, আবহাওয়াজনিত কারণে, জীবনযাপনে খরচ কমাতে, বৈচিত্র্য উপভোগ করতে, চাকরিজনিত কারণে, যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে, প্রেসিডেন্ট পছন্দ না হওয়ায় ও অন্যান্য কারণে দেশ (যুক্তরাষ্ট্র) ছেড়েছে।
পর্তুগালেই বেশি কেন
মার্কিন নাগরিকদের বেলায় পর্তুগাল অত্যন্ত উদার। দেশটিতে মার্কিন নাগরিকদের করা হয় সর্বোচ্চ সমাদর। এ ছাড়া পর্তুগাল অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সংস্কৃতির কারণেও আকর্ষণীয়।
আরও চমকপ্রদ তথ্য
এই গবেষণায় আরও চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে গুগলে ‘হু টু মুভ টু এক্স কান্ট্রি’ লিখে সার্চ দেওয়া হয়েছে অনেক বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রে এক্সপ্যাটসি ডটকম নামের একটি ওয়েবসাইট আছে, যেখানে মার্কিনদের ভিনদেশে থিতু হওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে সাহায্য–সহযোগিতা করা হয়। এই ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের নভেম্বরে মার্কিন ভিজিটরের সংখ্যা হুট করে বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৫১ হাজারে, যেখানে আগের মাস অর্থাৎ অক্টোবরে ছিল মাত্র ৮ হাজার।
এর পেছনের কারণ কী, জানেন? প্রেসিডেন্ট নির্বাচন!
সূত্র: সিএনবিসি