পিরামিড এক অপার রহস্যের ভান্ডার। যে রহস্যের অনেক কিছুই আজ পর্যন্ত উদ্ভাসিত করা সম্ভব হয়নি। পিরামিডে মিশরীয় রাজাদের মমি এবং তাদের ধনসম্পদ রাখা হতো। পিরামিড পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম যা এখনো সগৌরবে টিকে আছে।
গিজার পিরামিড নিয়ে আলোচনা করা যাক। এটি ১৪৬ মিটার বা ৪৭৯ ফুট উঁচু। এতে রয়েছে ২৩ লাখ পাথরের ব্লক। যার কিছু কিছু ব্লকের ওজন ৫০ টনের মত হবে। ৬ মিলিয়ন টন ওজনের এ স্থাপত্যটি দীর্ঘ সময় ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু দালানের খেতাব ধরে রেখেছিল।
অনেকেই এটিকে রহস্যময় স্থাপনা হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। কেননা গিজার পিরামিডকে ঘিরে রয়েছে বেশ রহস্য এবং কল্পনা। এটি এতটা হিসাব-নিকাশ করে তৈরি করা হয়েছে যে, স্থাপত্যটি এক বিস্ময় বটে। গণিতের হিসাবে এখানে কোনো খুঁত নেই।
এত প্রাচীন সময়ে নিখুঁতভাবে এরকম স্থাপত্য কীভাবে তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল তা আজও একটি বিস্ময়। পিরামিডের ভিতরে কীভাবে যাওয়া যায় এবং এখানে কী রয়েছে তা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।
তবে পিরামিডের নির্মাতারা ভেতরে ঢোকার জন্য নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করে রেখেছে। আরো একটি ইন্টারেস্টিং বিষয় হল যে, পিরামিডের পাথরের ব্লকগুলি এত নিঁখুত ভাবে বসানো হয়েছে যে, একটি পাতলা ছুরির ফলাও এগুলোর মধ্য দিয়ে যেতে পারে না।
সুরক্ষা হিসেবে সাদা সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে যেন ভিতরে পানি ঢুকতে না পারে। তাদের নির্মাণ কৌশল আজও ভালোভাবে টিকে আছে। খুকুর পিরামিডের নিচে পাঁচ হাজার বছর পুরনো একটি নৌকা ছিল যা উদ্ধার করা হয়েছিল।
এর আগে ১৯৫৪ সালে একটি নৌকা উদ্ধার করা হয় যা জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়। প্রাচীন মিশরের ফারাও রাজারা বিশ্বাস করত যে, তাদের পুনরায় জন্ম হবে এবং নৌকার প্রয়োজন হবে। বর্তমানে গিজার পিরামিড দেখতে যেরকম মনে হয় তা পূর্বে এরকম ছিল না।
পূর্বে দেখতে এটা একেবারে সাদা ছিল এবং চূড়ায় সোনালী রঙের মুকুট ছিল যা সূর্যের আলোর মত জ্বলজ্বল করত। এতে করে ফারাও রাজাদের ক্ষমতা এবং শক্তির বহি:প্রকাশ হয়। খুফুর পিরামিডের মধ্যে নতুন চেম্বার আবিষ্কার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও চেম্বার এবং রহস্য উন্মোচিত হবে বলে সবাই আশা করছে।