আমেরিকা সফরে সে দেশের আইনসভায় বক্তৃতায় কৃত্রিম মেধা (এআই) সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মজা করে বলেছিলেন, ‘‘আমি তো প্রথমে এআই মানে ভেবেছিলাম আমেরিকা-ইন্ডিয়া।’’ সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিজ্ঞান সংক্রান্ত পরামর্শদাতা আরতি প্রভাকর জানালেন, ওই বৈঠকে কৃত্রিম মেধার বিষয়টি একাধিক বার উঠেছিল। হালকা ভাবে বললেও মোদীর সেই বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
ওই প্রযুক্তিকে যাতে ঠিক ভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিশ্চিত করতে চায় আমেরিকা। সঙ্গী করতে চায় ভারত-সহ সমমনোভাবাপন্ন দেশগুলিকে।
৬৪ বছর বয়সি ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রভাকর পেশগত জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় কাজ করেছেন আমেরিকার সিলিকন ভ্যালিতে। ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর থেকে হোয়াইট হাউসে কর্মরত তিনি। এক সাক্ষাৎকারে প্রভাকর জানান, কৃত্রিম মেধা কোন পথে এগোবে তা বিভিন্ন দেশকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ঠিক করতে হবে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে গুগ্ল, মাইক্রোসফট, অ্যামাজ়ন, মেটা-সহ বিভিন্ন প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছে বাইডেন প্রশাসন।
চালু আইনের মধ্যে এই প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণের সুযোগও খোঁজা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘কৃত্রিম মেধা তো এখন সব জায়গায়। সবাই তা ব্যবহার করছেন। প্রত্যেকের জীবনে এর প্রভাব বাড়ছে। সে কারণেই আগামী দিনে এর রাস্তা নিয়ে সমস্ত দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’’