কুয়েতে নিরাপত্তা বিবেচনায় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হচ্ছে বিভিন্ন আইন। ইতোমধ্যে দেশটিতে নতুন ট্রাফিক আইন ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে একজন প্রবাসী নিজের নামে একটির বেশি গাড়ি রাখতে পারবেন না।
কুয়েতের ট্রাফিক পুলিশ প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিনশ ট্র্যাফিক মামলা দায়ের করে। এসব মামলার ৯০ শতাংশেরই কারণ চালকের রাস্তার দিকে অমনোযোগ, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার কিংবা বেপরোয়া গাড়ি চালানো। এসব বিবেচনায় নিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর করা হচ্ছে ট্রাফিক আইন, যেখানে বাড়ানো হয়েছে জরিমানা ও জেল।
নতুন নিয়মে এখন থেকে প্রবাসীদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ হবে ৩ বছর। অপরদিকে কোম্পানিতে ড্রাইভিং পেশায় কর্মরত প্রবাসীর ডিগ্রি সার্টিফিকেট এবং কন্ট্রাক্ট পেপারে বেতন ৬০০ কুয়েতি দিনার না থাকলে, ২০১০ সালের পরে লাইসেন্স হয়ে থাকলে এবং ড্রাইভিং ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়।
নতুন আইনে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ব্যবহার করলে ৭৫ দিনার জরিমানা, সিটবেল্ট ব্যবহার না করলে ৩০ দিনার, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালালে ১৫০ দিনার, সিগনালে লাল বাতি জ্বলা অবস্থায় পার হলে ১৫০ দিনার, ক্ষতিকারক নির্গমন, উচ্চ শব্দ বা ক্ষতিকারক তরল ফেলে যাওয়া যানবাহনগুলোর জরিমানা ৭৫ দিনার করা হবে। যেখানে প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ করা পার্কিংয়ের জন্য জরিমানা ১৫০ দিনার। এ ছাড়া মাদকসেবন করে গাড়ি চালালে তাদের ১ হাজার থেকে ৩ হাজার দিনার পর্যন্ত জরিমানা এবং এক থেকে দুই বছরের মধ্যে জেল হতে পারে।
যদি তারা সরকারি বা ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি করে তবে জরিমানা হবে ২০০০ থেকে ৩০০০ দিনার এবং জেলের মেয়াদ হবে এক থেকে তিন বছরের মধ্যে। যদি এই চালক মৃত্যু বা আঘাতের কারণ হয়, তবে জরিমানা হবে ৫০০০ কুয়েতি দিনার পর্যন্ত। সেই সঙ্গে হতে পারে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল।
নতুন আইনে কিছু ক্ষেত্রে জরিমানা ৭৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। কুয়েত সরকারের আইন বিভাগ, পাবলিক প্রসিকিউশন ও উচ্চতর বিচারিক পরিষদে এ আইন পর্যালোচনা ও পাস করা হয়েছে।