ডিজিটাল পরিকাঠামোর আধুনিকায়ন ও বৈশ্বিক সংযোগ জোরদারের লক্ষ্যে কুয়েত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে নতুন ইলেকট্রনিক ভিসা (ই-ভিসা) ব্যবস্থা। ই-ভিসা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে ঘরে বসেই অনলাইনে। এটি ভ্রমণকারী এবং কুয়েত-প্রবাসী উভয়ের জন্যই প্রবেশ প্রক্রিয়াকে করেছে সহজতর, দ্রুত এবং আরও স্বচ্ছ।
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, এই ই-ভিসা ব্যবস্থা দেশকে পর্যটন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য একটি আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরিণত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর ফলে, ডিজিটাল প্রশাসনে আরও একধাপ এগিয়ে গেল উপসাগরীয় এই দেশটি।
চার ধরনের ই-ভিসা দেওয়া হচ্ছে:
পর্যটন ভিসা – ৯০ দিনের জন্য, পর্যটকদের জন্য
পারিবারিক ভিসা – আত্মীয়দের কুয়েতে নিয়ে আসার সুযোগ
ব্যবসায়িক ভিসা – বৈঠক, সেমিনার বা অফিসিয়াল কাজে আগত প্রতিনিধিদের জন্য (মেয়াদ: ৩০ দিন)
সরকারি ভিসা – কূটনৈতিক বা সরকারি প্রতিনিধিদের জন্য সংরক্ষিত
প্রবাসী বাংলাদেশিরা মনে করছেন, এই ই-ভিসা চালু হওয়ায় পর্যটন, ব্যবসা এবং পারিবারিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
বিশেষ করে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা সহজেই কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবেন, যা বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কুয়েত শিগগিরই জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা ব্যবস্থায় যুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ভিসার মাধ্যমে উপসাগরীয় অঞ্চলের ছয়টি দেশ—একই ভিসা দিয়ে যাতায়াতের সুবিধা চালু করবে।
এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে পর্যটন ও আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সংক্ষেপে, কুয়েতের নতুন ই-ভিসা ব্যবস্থা শুধু প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, বরং প্রবাসী ও ব্যবসায়ী বাংলাদেশিদের জন্যও খুলে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনার জানালা।