কুয়েতের শ্রমিক সংকট ও শ্রমিক ব্যয় কামাতে গৃহকর্মী ভিসা থেকে কোম্পানি ভিসায় পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হয়। যা স্থানীয় বাজারে শ্রমিক সংকট ও স্বল্পতার কারণে ঘাটতি পূরণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে মনে করেন দেশটির সরকার।
প্রায় ১ যুগের বেশি সময়ের পর স্থানীয় নাগরিকদের বাসাবাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করা নারী ও পুরুষরা এই সুযোগ পেয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি এই সুযোগ নিয়েছে। দীর্ঘসময় পরে প্রবাসীরা নিজের দক্ষতা ও সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী বিভিন্ন কোম্পানিতে ভিসা পরিবর্তন করেছে।
শ্রমিক ব্যয় কামাতে নিজ দেশের ভেতরে থাকা শ্রমিক চাহিদা পূরণে ২০ নম্বর গৃহকর্মী থেকে ১৮ নম্বর শোন কোম্পানির ভিসায় পরিবর্তনের জন্য ১৪ জুলাই থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্তা সময় দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৫ হাজার শ্রমিক ভিসা পরিবর্তনেন জন্য আবেদন করেন।
মোহাম্মদ রিপন নামের এক বাংলাদেশি বলেন, ‘২০১৬ সালে গৃহকর্মীর ভিসার আসার পর বিভিন্ন জাগায় কাজের সুযোগ পেলে করতে পারিনি। এই সুযোগ দেওয়ায় আমি একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে ভিসা পরিবর্তন করেছি। আমার মতো এরকম অনেক শিক্ষিত ও দক্ষ বাংলাদেশি নিজ দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন কোম্পানিতে ভিসা পরিবর্তন করেছে। এতে যেমন পরিবারের সচ্ছলতা ফিরবে পাশাপাশি দেশের রেমিট্যান্স বাড়বে। চাইলে নিজের নামে লাইসেন্স করে ব্যবসা–বাণিজ্য করতে পারবে।’
অপর এক প্রবাসী মো. রুবেল হোসেন বলেন, ‘আমি ২০ নম্বর গৃহকর্মী থেকে টেক্সি কোম্পানিতে ভিসা পরিবর্তন করেছি। এখন আমার স্বাধীনমতো কাজ করতে পারব। পরিশ্রম করলে বাড়তি আয়ের সুযোগ আছে। আমি চাইলে পরিবার নিয়ে আসতে পারব।’
কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহদ আল-ইউসেফের কাছ থেকে নির্দেশাবলী এবং নির্দেশনা ছিল– যারা গৃহকর্মীদের বেসরকারি খাতে স্থানান্তর করতে ইচ্ছুক তাদের গ্রেস পিরিয়ড দেওয়া হবে। কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থানীয় কর্মী পেতে এবং দেশের মধ্যে তাদের উপস্থিতি থেকে উপকৃত থেকে সাহায্য করার জন্য এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।