কুয়েতে অবৈধ অভিবাসীরা চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। আবাসন ও শ্রম আইন লঙ্ঘন করে অবস্থান করা বিদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশটি। একের পর এক করা হচ্ছে অভিযান। ইতিমধ্যে পাঁচ শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের সহায়তাকারী কুয়েতি নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা এসেছে।
দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে ঘুমহারা প্রবাসীদের। সবার মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। গত তিন সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, চলতি সপ্তাহে জেলিব আল শুইউখ, আল ফারওয়ানিয়া ও আল ফাহাহিল এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। আটক হওয়া এড়াতে অবৈধভাবে অবস্থান করা অনেকে রাতে ঘরে থাকছেন না। মরুভূমি, বনে-জঙ্গলে বা পরিচিতদের বাড়িতে গিয়ে রাতে অবস্থান করছেন।
মূলত অনিয়মিত শ্রমিক, আবাসন ও শ্রম আইন লঙ্ঘনকারীদের শনাক্ত এবং দেশ থেকে বিতাড়িত করার লক্ষ্যে কুয়েতজুড়ে অভিযান চলমান আছে।
অবৈধ প্রবাসীরা নির্দিষ্ট জরিমানা দিয়ে দেশটিতে বৈধ হওয়ার সুযোগ পেতেন। তারা ব্যবসাসহ বিভিন্ন বেসরকারি চাকরি করতে পারতেন। তবে বর্তমানে এ সুযোগ স্থগিত করা হয়েছে।
গত বছর দেশটির আবাসন ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪২ হাজার প্রবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠায় কুয়েত।
অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য আকারে বেড়ে যাওয়ার পেছনে দেশটির নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর প্রচার ও সক্রিয় ব্যবস্থার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। দেশটির প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ তালাল আল খালেদের তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সূত্র জানিয়েছে, কুয়েত সরকার বর্তমানে আবাসিক আইন ও অন্যান্য প্রবিধান কার্যকরে জোর দিয়েছে। এজন্য দেশটি অভিবাসীদের কঠোরভাবে আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।