সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০০ অপরাহ্ন

কুয়াকাটা ভ্রমণে যা যা দেখবেন

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে পর্যটকরা ভিড় করেন কুয়াকাটায়। ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৈকতবিশিষ্ট কুয়াকাটা বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক সমুদ্রসৈকত। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা ‘সাগরকন্যা’ হিসেবে পরিচিত। কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পটুয়াখালী জেলার একটি শহর।

কুয়াকাটা পটুয়াখালী সদর থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। সমুদ্রসৈকত থাকায় কক্সবাজারের মতোই কুয়াকাটাও পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। আপনি যদি এ সময় কুয়াকাটা ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তাহলে অবশ্যই সমুদ্রসৈকত দেখার পাশাপাশি ঘুরে আসুন আরও বেশ কয়েকটি স্পট থেকে-

কুয়াকাটা ভ্রমণে যা যা দেখবেন

কুয়াকাটার কুয়া

কুয়াকাটা যাবেন আর কূপ দেখবেন না তা কী হয়! কুয়াকাটা নামকরণের পেছনে থাকা ঐতিহাসিক কুয়াটি আজও আছে। সেটি দেখতে যেতে হবে রাখাইনদের বাসস্থল কেরাণিপাড়ায়।

গঙ্গামতির জঙ্গল

সমুদ্রসৈকতের পূর্ব দিকে গঙ্গামতির খাল পর্যন্ত গিয়েই কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত শেষ হয়েছে। গঙ্গামতির জঙ্গলে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা, পাখি, বন মোরগ-মুরগি, বানর ইত্যাদির দেখা পাবেন।

সীমা বৌদ্ধ মন্দির

কেরানিপাড়ায় প্রাচীন কুয়া দেখার পর একটু সামনে এগিয়ে গেলেই দেখবেন সীমা বৌদ্ধ মন্দির। এই মন্দিরে আছে প্রায় ৩৭ মন ওজনের অষ্টধাতুর তৈরি একটি প্রাচীন বৌদ্ধ মূর্তি।

ক্রাব আইল্যান্ড

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের পূর্বদিকে গেলে দেখবেন ক্রাব আইল্যান্ড বা কাঁকড়ার দ্বীপ। সেখানে নির্জন সৈকতে ঘুরে বেড়ায় হাজার হাজার লাল কাঁকড়ার দল। এই দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই।

কুয়াকাটা ভ্রমণে যা যা দেখবেন

শুঁটকি পল্লী

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের পশ্চিমে জেলে পল্লীর অবস্থান। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শুঁটকি তৈরির মৌসুম চলে সেখানে। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে সৈকতের পাশেই শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। সেখান থেকে কম দামে কিনে নিতে পারেন পছন্দের মাছের শুঁটকি।

মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ মন্দির

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে রাখাইনদের আরও এক গ্রাম মিশ্রিপাড়ায় বড় আরেকটি বৌদ্ধ মন্দির আছে। জানা যায়, এ মন্দিরের ভেতরেই নাকি আছে উপমাহাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তিটি।

ফাতরার বন

সেখানে আরও দেখতে পাবেন ফাতরার বন। এজন্য আপনাকে যেতে হবে সমুদ্রসৈকতের পশ্চিম দিকে। এ বনে গেলে সুন্দরবনের প্রায় সব বৈশিষ্টই চোখে পড়বে। এখানে বন মোরগ, বানর, বুনো শুকর ও নানান পাখি পাওয়া যায়। কুয়াকাটা থেকে ফাতরার বনে যেতে হলে আপনাকে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করতে হবে।

কেরানিপাড়া

সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের রাস্তা ধরে আরও একটু এগিয়ে গেলেই রাখাইনদের আবাসস্থল কেরানিপাড়ায় ঢুকে পড়বেন। রাখাইন নারীরা কাপড় বুননে বেশ দক্ষ। চাইলে তাদের জীবনযাপন দেখতে পারবেন সেখানে।

কুয়াকাটা ভ্রমণে যা যা দেখবেন

কীভাবে যাবেন কুয়াকাটা?

দেশের যে কোনো স্থান থেকেই ইউনিক, হানিফ, শ্যামলী, গ্রিন সেন্টমার্টিন, প্রচেষ্টা, ইলিশসহ বেশ কয়েকটি বাসে চড়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন?

পর্যটকদের থাকার জন্য কুয়াকাটায় বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল আছে। মান ও শ্রেণি অনুযায়ী এসব হোটেলে ৪০০-৫০০০ টাকায় থাকতে পারবেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com