পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। স্থবির হয়ে পড়া সব কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক হয়ে ব্যস্ততা বেড়েছে পর্যটননির্ভর সব ব্যবসায়ীর। শীতের শুরুতেই পর্যটকের ভিড়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে ফিরতে শুরু করছে গতি।
জানা গেছে, শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ও শ্যামাপূজার ছুটিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে আশেপাশের এক কিলোমিটার জায়গাজুড়ে পর্যটকদের হৈ-হুল্লোড়। সমুদ্রের বুকে কেউ ঝাঁপিয়ে পড়ছেন কেউবা আবার দল বেঁধে সাতার কাটছেন। আনন্দ উপভোগের দৃশ্য স্মৃতিপটে ধারণের জন্য অনেকে ছবি তুলছেন।
অন্যদিকে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় ব্যস্ততা দেখা গেছে কুয়াকাটার সব রেস্তোরাঁসহ পর্যটননির্ভর সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। হোটেল-মোটেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের আবাসিক হোটেলে বুকিং ভালো আছে। পর্যটকদের উপস্থিতিতে স্বস্তি ফিরছে। তাদের আশা, পর্যটকদের এমন আনাগোনা থাকলে তাদের সংকট কেটে যাবে দ্রুত।
সৈকত লাগোয়া চা বিক্রেতা সোবাহান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে চোখে পড়ার মতো পর্যটক কুয়াকাটায় আসছেন। বিক্রি বাড়তে শুরু করছে।
ক্যামেরাম্যান আলমাস বলেন, গত সপ্তাহ থেকে মোটামুটি পর্যটক আসতে শুরু হয়েছে। আজ ভালোই পর্যটক বাড়ছে। আমরা সংকট কাটাতে পারবো।
আচার বিক্রেতা ছগির বলেন, পর্যটকরা এখন বেশি কেনেন না। শুধুই ঘুরে চলে যান। তবে আগের চেয়ে বিক্রি বেড়েছে।
সৈকত লাগোয়া খাবার হোটেলর মালিক সেলিম মিয়া বলেন, বর্ষা সিজনে বিক্রি খুবই খারাপ ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে ভালোই বিক্রি করতে পারছি। শুক্রবার আরও বেড়েছে। এখন আমাদের দুশ্চিন্তা কাটবে।
সৈকত লাগোয়া কাপড় ব্যবসায়ী জলিল বলেন, বেচাবিক্রি নাই বিগত দেড় মাস ধরে। এখন কিছু পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। আশা করছি, দ্রুতই স্বরূপে ফিরবে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসেসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, বাড়তে শুরু করছে পর্যটক। আশা করছি, এখন থেকে আর পর্যটক খরায় পড়তে হবে না। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক হচ্ছে, তার সঙ্গে পর্যটকের আগমন ঘটেছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পুলিশ সুপার এ কে আজাদ বলেন, দেশের চলমান অস্থিরতা কেটে যাওয়ায় পর্যটক বাড়ছে কুয়াকাটায়। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করেছি।