সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ছয় বছর আগে গড়ে উঠেছে ইলিশের পেটে রেস্টুরেন্ট। এক সময় ‘ইলিশ পার্ক অ্যান্ড ইকো রিসোর্টের’ এ রেস্টুরেন্টে প্রচুর কাস্টমার ও দর্শনার্থী ভিড় থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটি এখন বন্ধ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুই বিঘা জমির ওপর ইলিশ পার্ক অ্যান্ড ইকো রিসোর্টটি নির্মাণ করা হয়। এর ভেতরেই গড়ে তোলা হয়েছে ‘ইলিশ রেস্টুরেন্ট’। যেটির দৈর্ঘ্য ৭২ ফুট এবং প্রস্থ ১৮ ফুট। এ রেস্টুরেন্টের ধারণক্ষমতা ৫০ জনের অধিক। এখানে ১৫-২০ রকমের ইলিশ, ৩০ রকমের ভর্তা আর অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের আইটেম রয়েছে।
রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, সামুদ্রিক মাছগুলো গ্রাহকের চাহিদার ওপর কেনা হয়। পানি ছাড়া কোনো খাদ্য দ্রব্যই ফ্রিজিং করা হয় না।
তিনি জানান, আমাদের এ পার্ক অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে কোনো প্লাস্টিকের পণ্য ব্যবহার করা হয় না। চা বা কফি দেয়া হয় নারিকেলের মালায় এবং খাবার পরিবেশন করা হয় মাটির শানকিতে।
রেস্টুরেন্টের খাবারের মূল্য তালিকায় দেখা যায়, সরষে ইলিশ স্পেশাল ১৮০ টাকা, ইলিশ স্পেশাল সাইজ ১৫০, ইলিশ ভুনা ১২০, ইলিশ কারি ১২০, নোনতা ইলিশ ১২০, সবজি ইলিশ ১২০, ইলিশ ডাল ১০০ থেকে ১২০, ইলিশ নরমাল সাইজ ১০০, ইলিশ ফুল ১ হাজার টাকার মধ্যে (৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের) এবং ইলিশ বারবিকিউ ১ হাজার টাকা। তবে ওজনভেদে দাম কিছুটা বেশি-কম হয়।
এখানে ইলিশ পার্কে রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি থাকার জন্য রয়েছে সাম্পান, লাভ বার্ডস, হানিমুন, সুইটমুন, লেক ভিউ, বর্ষা, উডেন নামের দৃষ্টিনন্দন সাতটি কটেজ, যেখানে ৩৫-৪০ জন রাতযাপন করতে পারেন। এ ছাড়া শিশুদের জন্য রয়েছে বিনোদনের ব্যবস্থা।
কুয়াকাটা ট্যুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএম জহির বলেন, আমরা যে ট্যুরগুলো পরিচালনা করি তার বেশিরভাগ ট্যুরিস্টই এ ইলিশ পার্কটি পছন্দ করেন। নিরিবিলি পরিবেশ ও ইলিশ রেস্টুরেন্ট দেখতেই মানুষ এখানে আসেন।