গ্রামবাংলা থেকে কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে শৈল্পিক কারুকার্য খচিত বাবুই পাখির বাসা। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বাবুই পাখির বাসা বিলীন হতে চলেছে।
গ্রামবাংলা থেকে কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে শৈল্পিক কারুকার্য খচিত বাবুই পাখির বাসা। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বাবুই পাখির বাসা বিলীন হতে চলেছে।
বাবুই পাখির বাসা দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি মজবুত। প্রবল ঝড়েও তাদের বাসা ভেঙে পড়ে না। পুরুষ বাবুই পাখি বাসা তৈরির পর সঙ্গী খুঁজতে যায় অন্য বাসায়।
চা বিক্রেতা শ্যামলী রানী (৫৫) বলেন, ‘বাবুই পাখির বাসা দেখতে অনেক সুন্দর। এই বাসা নিয়ে ছোট সময়টায় আমরা পুতুল খেলতাম। বাবুই পাখির বাসায় রাতে জোনাকী পোকার মিটমিট আলো জ্বলতো, এসব দৃশ্য খুবই ভালো লাগতো।’
প্রজনন সময় ছাড়া অন্য সময় পুরুষ ও স্ত্রী বাবুই পাখির গায়ে পিঠে তামাটে কালো বর্ণের দাগ হয়। নিচের দিকে কোনো দাগ থাকে না। ঠোঁট পুরো মোসাকার ও লেজ চৌকা। তবে প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখির রং হয় গাঢ় বাদামি। অন্য সময় পুরুষ ও স্ত্রী বাবুই পাখির পিঠের পালকের মতই বাদামি হয়।
বেতাগীর স্থানীয় সংগীত শিল্পী সদানন্দ দেবনাথ (৭৪) বলেন, ‘ছোটবেলায় গ্রামের রাস্তার দুপাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছগুলোতে অনেক বাবুই পাখির বাসা ছিল। কিন্তু এখন বাবুই পাখির বাসা আর দেখা যায় না। বাবুই পাখির বাসা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। আবার তালগাছ লাগানো হলে হয়তবা বাবুই পাখি বাসা তৈরি করবে।’
বেতাগী উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি মো. কামাল হোসেন খান বলেন, সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে রাস্তার দুপাশে তালগাছ লাগানো হলে আবার বাবুই পাখি বাসা বুনবে।’