তাজমহল বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভগুলির মধ্যে একটি, যা আগ্রায় অবস্থিত। মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মুমতাজ মহলের স্মরণে এই সুন্দর স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করেছিলেন। সাদা মার্বেল দিয়ে তৈরি সমাধিসৌধটি জটিল কারুকার্য, ক্যালিগ্রাফি এবং উদ্যানের জন্য পরিচিত। এটি ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ও। এটিকে প্রেমের প্রতীক হিসেবেও ধরা হয়।
১৯৮৩ সালে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’-এর তকমা পায় তাজমহল। কিন্তু আপনি কি জানেন যে বিখ্যাত স্মৃতিসৌধটির পূর্বে নামকরণ করা হয়েছিল? তাজমহলের মূল নাম ছিল ‘রৌজা-ই-মুনাবওয়ারা’। ফার্সি ভাষায় যার অর্থ ‘অনন্য ভবন’। হ্যাঁ, তাজমহল প্রথমে রৌজা-ই-মুনাবওয়ারা নামেই পরিচিত ছিল, যার অর্থ ‘আলোকিত সমাধি’। এই নামটি ষোড়শ শতকের গোড়ার দিকে নির্মাণের শুরুতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
তাজমহল স্থাপত্যশিল্পের একটি শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। পারস্য, অটোমান, ভারতীয় এবং ইসলামিক শৈলীর মিশ্রণে তৈরি স্থাপত্যটি বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি। ১৬৩২ সালে সম্রাট শাহজাহান তাঁর প্রিয় স্ত্রী মুমতাজ মহলের স্মরণে এটি নির্মাণ করেন। যিনি সন্তানপ্রসবের সময় মারা যান। ইউনেস্কোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, “মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মুমতাজ মহলের স্মরণে এটি নির্মাণ করেন। এর নির্মাণকাজ ১৬৩২ সালে শুরু হয় এবং ১৬৪৮ সালে সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে মসজিদ, অতিথিশালা এবং দক্ষিণে প্রধান প্রবেশদ্বার, বাইরের উঠোন এবং মঠগুলি যুক্ত করা হয়। ১৬৫৩ খ্রীস্টাব্দে পুরো কাজ শেষ হয়।”