চতুর্দিকে চলছে কর্মী ছাঁটাইয়ের হিড়িক। আর্থিক মন্দার বাজারে টিকে থাকতে বড় কোম্পানিগুলো ছাঁটাই করছেন কর্মীদের, এক ধাক্কায় কাজ হারাচ্ছেন হাজার হাজার কর্মী। ফেসবুকের কর্ণধার সংস্থা মেটাও এই তালিকায় রয়েছে। কয়েক দফায় প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি মেটার কর্মীরা চাকরি হারিয়েছেন।
মেটার কর্মী ছাঁটাইয়ের আবহেই এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন সাবেক এক কর্মী। যেখানে আর্থিক সঙ্কটের দোহাই দিয়ে কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে, সেখানেই মেটার ওই কর্মী দাবি করলেন, কোনও কাজ না করার জন্যই তিনি বেতন পেয়েছেন। সেই বেতনের অঙ্কটাও বিশাল। এক বছর কাজ করে তিনি উপার্জন করেছেন ১ লক্ষ ৯০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার অঙ্ক দুই কোটি টাকা!
জানা গিয়েছে, ম্যাডেলিন নামক ওই যুবতী মেটায় মানব সম্পদ বিভাগে নিয়োগকর্তা বা রিক্রুটার হিসাবে কাজ করতেন। ২০২১ সালের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নিয়ে তিনি জানান, সংস্থার তরফে নতুন করে কোনও কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছিল না। তিনি অফিসে কোনও কাজ না করেই বার্ষিক ১ লক্ষ ৯০ হাজার ডলার উপার্জন করেছেন।
ম্যাডেলিন বলেন, ‘প্রথম ছয় মাস, এমনকি প্রথম বছরে আমাদের কাছ থেকে কাউকে নিয়োগ করার আশা করা হয়নি। এই কথা জেনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম, এটা সেরা কাজ। এক বছর কোনও কাজ করতে হবে না। অবশ্যই আমি তারপর আর সেই কাজ করতে পারিনি।’
ম্যাডেলিন জানান, সারাদিন কোনও কাজ না করলেও, তার সারাদিন নতুন নতুন বিষয় শেখা ও অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ থাকত। মেটার কর্মী নিয়োগ ও তাদের প্রশিক্ষণের পদ্ধতি সবথেকে সেরা বলেও উল্লেখ করেন তিনি। কোনও কর্মী নিয়োগ করা না হলেও, রোজ তাদের টিম মিটিং হত বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘সবথেকে আশ্চর্যকর বিষয় ছিল, আমরা সারাদিনে প্রচুর মিটিং করতাম। কিন্তু কিসের জন্য এত মিটিং হত? আমরা তো কাউকে নিয়োগ করছিলাম না। শুধুমাত্র এটা শোনার জন্যই মিটিং হত যে অন্য সংস্থারাও নিয়োগ করছে না। যেহেতু আমরা সবাই নতুন ছিলাম, কারোরই নতুন কর্মী নিয়োগ করার অধিকার ছিল না।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতিই মেটার তরফে দ্বিতীয় দফায় কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করা হয়। আর্থিক সঙ্কটের কারণে আরও ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হবে সংস্থা থেকে, এমনটাই জানানো হয়েছে। সম্প্রতিই ৫ হাজার শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ হওয়ার যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাও আপাতত বাতিল করে দেয়া হয়েছে।