শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

কিং আব্দুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (জেদ্দা)

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই, ২০২১

কিং আব্দুল আজিজ এয়ারপোর্ট সৌদি আরবের সবচাইতে বড় বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটির বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে সবচেয়ে বেশি যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। সেটি হচ্ছে হজ্জ মৌসুম। ১০৫ বর্গ কিলোমিটার এরিয়া জুড়ে গড়ে উঠা বিমানবন্দরটির ডিজাইন করেছিলেন বাংলাদেশী বংশদ্ভুত আমেরিকান নাগরিক ফজলুর রহমান খান। বিমানবন্দরটি একসাথে ৮০ হাজার যাত্রী হ্যান্ডেল করতে পারে।

প্রতি বছর সারা বিশ^ থেকে ২ মিলিয়ন মুসলমান হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে আসেন। বিমানবন্দরটি মক্কা থেকে প্রায় ১০০ কি.মি. দূরে অবস্থিত।

বিমানবন্দরটির কাজ শুরু হয় ১৯৭৪ সালে। ১১ মে, ১৯৮৩ সালে বিমানবন্দরটি চালু হয়। ১০৫ বর্গকিলোমিটর বা ৪১ মাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, এই বিমানবন্দরটি সত্যি আপনাকে অবাক করবে। এখানে রয়েছে একটি রয়্যাল টার্মিনাল। সৌদি রয়্যাল এয়ারফোর্সের জন্য রয়েছে একটি রয়াল টার্মিনাল। এটি শুধু রাজ পরিবারের জন্য নির্ধারিত। টার্মিনালটি সম্পূর্ণ রাজকীয়ভাবে সাজানো হয়েছে। এই এয়ারপোর্টে কর্মরত সব কর্মীর থাকার জন্য। এয়ারপোর্টের সাথেই রয়েছে থাকার ব্যবস্থা।

এছাড়া বিমানবন্দরটিতে রয়েছে একটি হজ্জ টার্মিনাল। টার্মিনালটি পৃথিবীর মধ্যে চতুর্থ বৃহৎ একটি টার্মিনাল যেটির আয়তন প্রায় মিলিয়ন বর্গফুট এবং এই টার্মিনালটি তৈরীর জন্য প্রায় ১০০ একর জায়গা ব্যবহার করা হয়। হজ্জ টার্মিনালের ডিজাইন করা হয়েছে পুরোপুরি তাবু আকৃতির। ফলে এটি একটি ভিন্ন রূপ নিয়েছে। এই টার্মিনাল দিয়ে হজ্জ মৌসুমে একসাথে ৮০ হাজার যাত্রী হ্যান্ডেলিং করতে পারে এবং হজ্জ মৌসুমে বিমানবন্দরটি সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দরে পরিনত হয়।

সম্প্রতি আরো একটি টার্মিনাল চালু হয়েছে। নতুন এই টার্মিনালের আয়তন প্রায় ৮ লক্ষ ১০ হাজার বর্গমিটার। এখানে প্রতি বছর ৩০ মিলিয়ন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। এই টার্মিনালটিকে অত্যন্ত যুগোপযোগী এবং আধুনিকভাবে নির্মান করা হয়েছে। এই টার্মিনালে একসাথে ৭০ হাজার যাত্রী হ্যান্ডেলিং করতে পারে।

বিগ সাইজ এয়ারবাসসহ সবধরনের এয়ারক্রাফট এখানে অবতরন করতে পারে। টার্মিনালটি জুড়ে রয়েছে ৪৬টি সেট এবং ৮৪০টি বোর্ডিং ব্রিজ। টাওয়ারের উচ্চতা প্রায় ১৩৬ মিটার। টার্মিনালটির সম্মুখে রয়েছে বিশাল একটি পার্র্কিং এরিয়া। যেখানে একসাথে ২৯ হাজার গাড়ি পার্ক করা যায়।
টার্মিনালটিতে রয়েছে প্রায় ২০০ চেক ইন কাউন্টার। টার্মিনালটিতে একটি ফার্স্টক্লাস চেক ইন কাউন্টার এবং একটি ডমেষ্টিক কাউন্টার রয়েছে। টার্মিনালটির মধ্যভাগে রয়েছে একটি বিশাল গার্ডেন। এর আয়তন প্রায় ১৮ হাজার বর্গ মিটার। টার্মিনালের সাথে যুক্ত করা হয়েছে রেল স্টেশন। যেখানে সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাত্রীরা যাতায়াত করে।

টার্মিনালের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে জমজম পানির ডিট্রিবিউশন যেখান থেকে চাইলে আপনি জমজমের পানি সংগ্রহ করতে পারেন। ৫ লিটার পানির মূল্য ২ ডলার।

টার্মিনালের সবচেয়ে বড় একটি আকর্ষন হচ্ছে বিশাল একটি এ্যাকুরিয়াম। এই একুরিয়ামটিতে প্রায় ১ মিলিয়ন লিটার পানি আছে। যার মধ্যে রয়েছে প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ। বিমানবন্দরটি জুড়ে রয়েছে ৩টি রানওয়ে। আধুনিক সিকিউরিটি সিস্টেম অনেক উন্নত।

বিমানবন্দরটি সৌদিয়ার হার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশে^র প্রায় ১০০ এয়ারলাইন বিমানবন্দরটি ব্যবহার করে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com