শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন

কাশফুলের রাজ্যে কায়াকিং আর ভাসমান রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া

  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কাশফুলের শুভ্রতা আর পেঁজা তুলার মতো মেঘ নিয়ে প্রকৃতিতে শরতের আবির্ভাব হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। বাঙালি বরাবরই এই স্নিগ্ধ শরতের প্রেমে মুগ্ধ। আমাদের কবিতা, গল্প, উপন্যাসও সে কথা বলে। রাজধানীবাসী শরৎকালে উত্তরার দিয়াবাড়িতে যান কাশফুল দেখতে। তবে শুধু কাশফুলই নয়, দিয়াবাড়িতে এখন আছে কায়াকিং করার সুযোগ আর উদরপূর্তির জন্য আছে একটি চমৎকার  ভাসমান রেস্তোরাঁও।

দিয়াবাড়িতে এখন আছে কায়াকিং করার সুযোগ
দিয়াবাড়িতে এখন আছে কায়াকিং করার সুযোগ
মেট্রোরেলের ১৭৩ নাম্বার পিলারের পাশেই অবস্থিত কায়াকিং স্পটটি
মেট্রোরেলের ১৭৩ নাম্বার পিলারের পাশেই অবস্থিত কায়াকিং স্পটটি

ফাইবার, কাঠ ও পাটের তন্তু দিয়ে তৈরি লম্বা সরু নৌকাকে বলা হয় কায়াক। বৈঠা দিয়ে কায়াক নামের নৌকা নিয়ে জলে ভেসে বেড়ানোকে বলা হয় কায়াকিং। ঢাকা শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে মেট্রোরেলে চেপে সহজেই যেতে পারবেন উত্তরার এই কায়াকিং স্পটে। এখানে যেতে হলে নামতে হবে উত্তরা সেন্টারে, মেট্রোরেলের ১৭৩ নাম্বার পিলারের পাশেই অবস্থিত কায়াকিং স্পটটি।

কায়াকিং করতে হলে প্রথমেই টিকেট কেটে নিতে হবে আপনাকে। এরপর করতে হবে আপনার সিরিয়ালের ঘাটে পৌঁছানোর অপেক্ষা। এই অপেক্ষা দীর্ঘ হতে পারে যদি আপনি বিকাল বা সন্ধ্যায় যান। ভীড় এড়াতে একটু আগে আগে যাওয়াই ভালো। এখানকার কিছু কায়াক দুই আর কিছু কায়াক তিন সিটের।

৩০ মিনিটেই পুরো লেকটি একবার ঘুরে আসা যায়
৩০ মিনিটেই পুরো লেকটি একবার ঘুরে আসা যায়

৩০ মিনিটের জন্য কায়াকগুলোতে উঠতে লাগবে জনপ্রতি ১০০ টাকা। ভীড় এড়াতে বিকালে ৩০ মিনিটের বেশি সময়ের জন্য কায়াক ভাড়া দেয়া হয় না। ৩০ মিনিটেই পুরো লেকটি একবার ঘুরে আসা যায়। তবে সকাল সকাল গেলে এক ঘন্টার জন্যও কায়াক ভাড়া করতে পারবেন।

স্নিগ্ধ পরিবেশে লেকের শান্ত জলরাশিতে কায়াকিং করার মজাই আলাদা। দিয়াবাড়িতে কায়াকিং করতে গিয়ে একদিকে চোখে পড়বে কাশফুল আর আরেকদিকে সারি সারি কচুরিপানা।

একদিকে চোখে পড়বে কাশফুল
একদিকে চোখে পড়বে কাশফুল
ছোট্ট ছিমছাম রেস্তোরাঁটির প্রতিটি টেবিল থেকেই লেকের চমৎকার ভিউ পাওয়া যায়
ছোট্ট ছিমছাম রেস্তোরাঁটির প্রতিটি টেবিল থেকেই লেকের চমৎকার ভিউ পাওয়া যায়

বিপদ এড়াতে কায়াকে ওঠা ও নামার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। চাইলে কায়াকিং করতে নামার আগে লাইফ জ্যাকেট চেয়ে নিতে পারবেন।

কায়াকিং করে ক্ষুধা লাগলে ঢুঁ মারতে পারেন কায়াকিং স্পটের পাশের ভাসমান রেস্তোরাঁয়। ছোট্ট ছিমছাম রেস্তোরাঁটির প্রতিটি টেবিল থেকেই লেকের চমৎকার ভিউ পাওয়া যায়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com