একজন কার্টুনিস্ট কার্টুন আঁকার মাধ্যমে কোন গল্প বা কাহিনীকে ফুটিয়ে তোলার কাজ করেন। আমাদের দেশে এ পেশায় কাজের সুযোগ মূলত গণমাধ্যম আর মার্কেটিং খাতে সীমিত। অবশ্য ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন বিদেশী ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করা সম্ভব।
সাধারণ পদবী: কার্টুনিস্ট
বিভাগ: ক্রিয়েটিভ ক্যারিয়ার
প্রতিষ্ঠানের ধরন: প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি, ফ্রিল্যান্সিং
পেশার ধরন: ফুল-টাইম, পার্ট-টাইম
লেভেল: প্রযোজ্য নয়
সম্ভাব্য অভিজ্ঞতা সীমা: কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ
সম্ভাব্য গড় বেতন: কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ
সম্ভাব্য বয়স সীমা: কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ
মূল স্কিল: সৃজনশীলতা, ছবি আঁকায় পারদর্শিতা
বিশেষ স্কিল: ছবি আঁকার সফটওয়্যার ব্যবহারে দক্ষতা
প্রতিষ্ঠান ও কাজের ধরন অনুযায়ী একজন কার্টুনিস্টকে কার্টুন আঁকতে হয়। যেমন, প্রকাশনা সংস্থায় চাকরি করলে আপনাকে বইয়ের প্রচ্ছদ তৈরি করতে হবে। আবার মার্কেটিং এজেন্সিতে কাজ করার বেলায় বানাতে হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট।
এ পেশায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আবশ্যক নয়। তবে স্বীকৃত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ/বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হলে অগ্রাধিকার পাওয়া যেতে পারে কাজ পাবার ক্ষেত্রে।
কাগজে-কলমে কার্টুন আঁকার সাথে সাথে বর্তমানে কম্পিউটার নির্ভর সফটওয়্যারের মাধ্যমে আঁকতে জানা থাকা দরকার। যেমনঃ
সৃজনশীল এ পেশায় আসতে হলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আঁকাআঁকির অভ্যাসের বিকল্প নেই। তবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে পড়াশোনা করলে তা কাজে দিতে পারে।
কোন প্রকাশনা সংস্থা বা মার্কেটিং এজেন্সিতে চাকরি না করলে এ পেশায় মাসিক উপার্জন নির্দিষ্ট থাকে না। স্বাধীনভাবে কাজ করলে ক্লায়েন্টের ভিত্তিতে একটি প্রজেক্ট থেকে ৳১৫,০০০ – ৳৭৫,০০০ আয় করা সম্ভব।
ক্রিয়েটিভ এ পেশায় ক্যারিয়ারের নির্দিষ্ট কোন ধরন নেই। তবে কার্টুন বা অ্যানিমেশন সফটওয়ারের কাজ জানা থাকলে মার্কেটিং এজেন্সি বা অ্যানিমেশন স্টুডিওতে কাজ করার সুযোগ বেড়ে যায়।