সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন

কাপ্তাই হ্রদের বুকে সাদা শাপলার রাজ্য

  • আপডেট সময় বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩

পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে অবস্থিত কাপ্তাই হ্রদের জুরাছড়ির বিলে এখন শত শত সাদা শাপলা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এই রাজ্যে প্রতিদিনই বেড়াতে আসা ভ্রমণপ্রেমী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের সমাগম চোখে পড়ার মতো।

কাপ্তাই হ্রদের কাছেই পাহাড়ঘেরা দুর্গম অঞ্চল জুরাছড়ি উপজেলা। এটি রাঙামাটির প্রত্যন্ত জনপদ। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সুবাদে পর্যটকদের কাছে এর বেশ জনপ্রিয়তা আছে। কাপ্তাই হ্রদের বুকে শাপলা ফুলের সমাহারে সৃষ্টি হয়েছে মনোরম পরিবেশ। দর্শনার্থীরা শাপলা ফুলের মাঝে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন দেদার।

জুরাছড়িতে যেতে নৌ-পথে কাপ্তাই হ্রদের বিশাল অংশ পাড়ি দিতে হয়। যেতে যেতে বন-পাহাড়ের প্রকৃতি উপভোগ করা যায়। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে বয়ে আসা ঝিরি-ঝরনার জলপ্রবাহ দৃষ্টিনন্দন। এছাড়া পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন মন কাড়ে।

শাপলার সমাবেশ দেখতে জুরাছড়ি উপজেলায় নিয়মিত ভ্রমণপিপাসুদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে এসে ডিঙি নৌকায় চড়ে অনেকে এই সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। তাদের মধ্যে মুনমুন চাকমা ও যুথি চাকমা বললেন, ‘একসঙ্গে এত শাপলা ফুল ফোটার দৃশ্য আগে কখনও দেখিনি। আমরা সত্যিই আনন্দিত।’

জুরাছড়িতে ঘুরতে যাওয়া নুকু চাকমার অভিব্যক্তিতে, ‘জুরাছড়ির বিলে শাপলা ফুলের আলাদা রাজ্য গড়ে উঠেছে বলা যায়। গত কয়েকদিনে প্রকৃতির এই সৌন্দর্য কয়েকবার উপভোগ করেছি।’

ভ্রমণপিপাসু বিথি চাকমার কথায়, ‘কাপ্তাই হ্রদে এখন ভরপুর পানি থাকায় শাপলার রাজ্য গড়ে উঠেছে। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করে ভালো লাগলো।’

স্থানীয় তরুণ রকি চাকমার দাবি, হ্রদে এবারই প্রথম শত শত শাপলা ফুল ফুটেছে। তবে জুরাছড়িতে বেড়াতে এসে শাপলা ফুল না তুলতে পর্যটকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শাপলা ফুল ফোটার বিষয়টিকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা। তিনি বলেন, ‘জুরাছড়িতে পর্যটক সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি জায়গাটির পরিচিতি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com