২০০৭ সাল থেকে তিনি হাইস অব কমন্সে পার্লামেন্ট ও সিনেটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কানাডার হয়ে তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ক্লার্ক অব দ্য সিনেট অ্যান্ড ক্লার্ক অব দ্য পার্লামেন্টের কাজ হচ্ছে পুরো সংসদের দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালনা করা এবং দেখভাল করা।
এ নিয়োগটি হয় কানাডিয়ান পাবলিক সার্ভিস এমপ্লয়মেন্ট অ্যাক্টের আওতায়, গভর্নরস ইন কাউন্সিল এ নিয়োগ দেয়। এ পদের সুপারিশ আসে কেবিনেট থেকে। অর্থাৎ মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরই কাউকে নিয়োগের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয় এবং গভর্নরস ইন কাউন্সিল নিয়োগটি দেয়। শায়লা আনোয়ারের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে, তার যোগ্যতা দক্ষতা বিবেচনা করে কেবিনেট তাকে এ পদে সুপারিশ করেছে এবং গভর্নরস ইন কাউন্সিল তাকে নিয়োগ দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শায়লা আনোয়ারের সিনেটের নতুন ক্লার্ক এবং পার্লামেন্টের ক্লার্ক হিসেবে নিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, সিনেটের কর্মপ্রক্রিয়া এবং আইন প্রণয়ন সম্পর্কিত বিষয়ে অগাধ জ্ঞানের অধিকারী শায়লা আনোয়ার কানাডার ব্যুরোক্রেসির একজন ব্যতিক্রমী কর্মকর্তা। তিনি (শায়লা) তার মেধা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে কানাডার পার্লামেন্ট ব্যবস্থাকে জনগণের জন্য কার্যকর করে তুলবেন বলে আশা করেন ট্রুডো। শায়লা আনোয়ারের নিয়োগ আগামী ৬ মে থেকে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকার মেয়ে শায়লা আনোয়ার। বড় হয়েছেন কানাডার অটোয়াতে। অটোয়ার কালর্টন ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স এবং রাজনীতি বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন।