কানাডার নতুন পরিকল্পনায় বড় বড় সিটিগুলোর বাইরে সুনির্দিষ্ট কম জনবহুল এলাকায় সেখানকার সুনির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী যোগ্য ইমিগ্রান্টদের আনা হবে। ৩ বছরে ৬০ শতাংশ নেওয়া হবে দক্ষ অভিবাসী—এক্সপ্রেস এন্ট্রি, পিএনপি, অ্যাগ্রিফুড পাইলট প্রোগ্রাম, রুরাল অ্যান্ড নর্দার্ন ও মিউনিসিপ্যাল পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে। ফ্যামিলি ক্লাস, রিফিউজি স্পনসরশিপ, হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যান্ড কম্পাশনেট ও অ্যাসাইলাম ক্যাটাগরিতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডা। বিশাল আয়তনের দেশটিতে একমাত্র আদিবাসী অল্প কিছু মানুষ ছাড়া সবাই অভিবাসী। নানা কারণে কানাডায় অভিবাসনের ইচ্ছা সারা বিশ্বে বেড়ে গেছে। এই ইচ্ছায় আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করেছে গত বছরের ৩০ অক্টোবর কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী মার্কো মেন্ডিচিনুর ২০২১–২৩ সালের মধ্যে ১২ লাখ ৩৩ হাজার অভিবাসী আনার ঘোষণা। এই পরিকল্পনায় বড় বড় সিটির বাইরে সুনির্দিষ্ট কম জনবহুল এলাকায় সেখানকার সুনির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী যোগ্য ইমিগ্রান্টদের আনা হবে। আগামী তিন বছরে ৬০ শতাংশ নেওয়া হবে দক্ষ অভিবাসী—এক্সপ্রেস এন্ট্রি, পিএনপি, অ্যাগ্রিফুড পাইলট প্রোগ্রাম, রুরাল অ্যান্ড নর্দার্ন ও মিউনিসিপ্যাল পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে। ফ্যামিলি ক্লাস, রিফিউজি স্পনসরশিপ, হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যান্ড কম্পাশনেট ও অ্যাসাইলাম ক্যাটাগরিতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রে কেন কানাডায় অভিবাসনের ক্ষেত্রে যোগ্য এ ধরনের একটি এক পাতার চিঠি ডকুমেন্ট হিসেবে আপনাকে পাঠাতে হয়, যা এক্সপ্রেস অব ইন্টারেস্ট নামে পরিচিত। ওই চিঠিটা লেখার আগে কানাডার জব মার্কেট সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে লিখবেন। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের কাজের ওপর ভিত্তি করে কানাডার জব মার্কেটে আপনি কী অবদান রাখতে পারেন, তা ওই চিঠিতে ফোকাস করবেন। এ চিঠি লেখার ব্যাপারে আপনার যদি পর্যাপ্ত কনফিডেন্স না থাকে, তবে এ বিষয়ে যাঁরা দক্ষ, তাঁদের সাহায্য নিয়ে এ চিঠিটা লিখতে পারেন। তা ছাড়া ইউটিউব বা গুগলে সার্চ দিলে এ বিষয়ে অনেক সাহায্য পাবেন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে আপনার লোকাল থানার মাধ্যমে দরখাস্ত করতে হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কানাডিয়ান সরকারি ওয়েবসাইটে (http://www.cic.gc.ca/) এ–সংক্রান্ত গাইডলাইন দেওয়া আছে, তা অনুসরণ করবেন। কোনো ক্রিমিনাল অফেন্স থাকলে আপনার আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে।
আপনার ফেসবুক এবং অন্য সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কানাডার ইমিগ্রেশন বিভাগ ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখবে। সে ক্ষেত্রে আপনার দেওয়া তথ্যগুলোর সঙ্গে আপনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রোফাইলের পার্সোনাল ইনফরমেশনগুলোর মিল অবশ্যই থাকতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে কোনো ভায়োলেন্স, শিশু নির্যাতন, কোনো বর্ণবাদী স্ট্যাটাস বা এই ধরনের কিছু শেয়ার করবেন না।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব কাগজ স্ক্যান করে পাঠাতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নোটারি করার প্রয়োজন হতে পারে। প্রকৃত নোটারিয়ান দিয়ে নোটারি করতে হবে। মিথ্যা কাগজ বানিয়ে দেবেন না। কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগ কোনো না কোনোভাবে আপনার এসব ডকুমেন্টের সত্যতা খুঁজে বের করবেই। ছোট একটি উদহারণ দিই, আপনি দেখালেন কোনো একটি জায়গায় চাকরি করেন, কানাডার ইমিগ্রেশন বিভাগ যখন আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখবে, তখন আপনার ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে যদি আপনার নিজস্ব অ্যাকাউন্টে বেতনের টাকা প্রতি মাসে না যায়, তাহলে ওরা বুঝে নিতে পারে আপনি সেখানে কাজ করেন না।